“মমতাদি কাউকে আড়াল করেননি, এটা টার্গেট করে চক্রান্ত“

আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে পরিকল্পিত প্লট করে, মিথ্যে অভিযোগে, তথ্য বিকৃতি করে লোক খ্যাপাচ্ছে বাম-রাম। আর জি করের ঘটনা নিয়ে কিছুই আড়াল করার চেষ্টা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি সেই সময় বাইরে ছিলেন। ঝাড়গ্রামে থেকে ফিরছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে প্লট সাজিয়ে চক্রান্ত করছে রাম-বাম। আর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের একাংশ। শনিবার, স্পষ্ট ব্যাখ্যা করলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।কুণাল সাফ বলেন, মমতাদি (Mamata Banerjee) কখনও কোনও অন্যায়কে সমর্থন করেননি। আর জি কর-কাণ্ডে অনেকেই বলেছেন বিলম্ব হয়েছে। যদি সেটা হয়েও থাকে, তবে সেটা হয়েছে হাসপাতালে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় ঝাড়গ্রাম থেকে ফিরছিলেন। খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত পদক্ষপ নেন তিনি। যা যা করণীয় করেছেন। তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। মৃতা চিকিৎসকের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর জি কর হাসপাতালের (R G Kar Madical College And Hospital) এমএসভিপি থেকে শুরু করে অধ্যক্ষ সবার বদলি করেছেন। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। যদি কোথাও কোনও বিলম্ব হয়ে থাকে, সেটা হয়েছে হাসপাতালে। সেখানে যদি কোনও তথ্য বিভ্রান্তির ঘটনা ঘটে, সেটা হাসপাতালে ঘটেছে। মমতাদি তো সেই সময় কলকাতাতেই নেই- ব্যাখ্যা করে বলেন কুণাল।

একই সঙ্গে কুণাল জানান, এই ঘটনার সঙ্গে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ যুক্ত কি না তার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। সেই কারণে তাঁর অন্য জায়গায় কাজে যোগ দেওয়ায় কোনও সমস্যা থাকতে পারে না। তবে, বদলির তিনঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে অধ্যক্ষ পদে পাঠানোর বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। কারণ, তাঁকে নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা ক্ষোভ রয়েছে। আর সেই ক্ষোভে উস্কানি দিচ্ছে বাম-রাম ও একশ্রেণির মিডিয়া।

একই সঙ্গে আর জি করের (R G Kar Madical College And Hospital) সেমিনার রুমের কাছে পিডব্লিউডি-র ভাঙচুরের ঘটনাও সময়োপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেন কুণাল। তিনি স্পষ্ট জানান, সেমিনার রুম একেবারে অক্ষত আছে। কিন্তু তার কাছেই কোনও নির্মাণের কাজ শুরু করা ঠিক হয়নি। এতে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অবিশ্বাস করার সুযোগ থাকছে। আর সেটা নিয়ে বামেরা কুৎসা ছড়াচ্ছে- এর তীব্র নিন্দা করেছেন কুণাল। তাঁর অভিযোগ, অরাজরকতা প্লট তৈরি করে অশান্তির চেষ্টা করছে রাম-বাম। লোক খ্যাপানো হচ্ছে। বাংলার শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে কুণালের অনুরোধ, এই ফাঁদে পা দেবেন না।






Previous articleদোষীদের ফাঁসির দাবি! আর জি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল তৃণমূলের
Next article২ বছরে ৩ বার! ফের ভেঙে পড়ল নীতীশের সাধের সেতু, চাঞ্চল্য বিহারে