টাকা দিলেই প্রশিক্ষণ, মধ্যপ্রদেশের গ্রামে হাত পাকে বড় অপরাধে!

প্রশিক্ষণের শেষে এখান থেকে অপরাধীদের ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন জায়াগায়। কিন্তু এত বড় চক্র, এত পরিচিতি বা প্রমাণ থাকার পরেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না

মরলে মরো ছড়িও না। আত্মহত্যার কাল্পনিক স্কুলের চেহারা সৃজিত মুখার্জির হেমলক সোসাইটিতে দেখে যাঁরা গেল গেল রব তুলেছিলেন, তাঁদের জন্য সন্ধান থাকল দেশের অপরাধ প্রশিক্ষণ শিবিরের। কাল্পনিক প্রশিক্ষণ নয়, এখানে বাস্তবেই টাকা দিয়ে অপরাধের প্রশিক্ষণ নেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দারা। রীতিমত স্কুলের মতো ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ, আর প্রশিক্ষণের শেষে পরীক্ষা পাশের ব্যবস্থা। সব জানলেও অপরাধীদের ক্ষমতা এতটাই বেশি যে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ক্ষমতাই হয় না এই এলাকায় ঢোকার।

এনসিআরবি-র রিপোর্টে শিশুদের প্রতি অপরাধের প্রবণতা যে সব রাজ্যের বাড়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে শীর্ষে মধ্যপ্রদেশের নাম রয়েছে। তার একটা বড় উদাহরণ পাওয়া যাবে রায়গড় জেলার কাডিয়া, গুলখেড়ি এবং হুলখেড়ি গ্রামে। শিশুদের অপরাধ শেখানে অভিভাবকেরা ছোটবেলাতেই এখানে গুরুর কাছে নাড়া বাঁধেন। কোন শিশুর কেমন ক্ষমতা সেই অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

রীতিমত সিস্টেমেটিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এই গ্রামগুলিতে। টাকার বিনিময়ে অপরাধের শিক্ষা পাওয়া গেলেও যোগ্যতা আগে যাচাই করা হয়। তার জন্য প্রশিক্ষণের পরে শিশু অবস্থা থেকেই বিভিন্ন অপরাধের কাজ করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পাশ করলে নতুন ধাপের প্রশিক্ষণ শুরু, একেবারে স্কুলের মতো। তবে যদি কোনও অপরাধী নিজেকে বিরাট দক্ষ বলে প্রমাণ দিতে পারে সেক্ষেত্রে গুরু নিজে অপরাধীর পরিবারকে আর্থিক পুরস্কার দেন।

প্রশিক্ষণের শেষে এখান থেকে অপরাধীদের ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন জায়াগায়। কিন্তু এত বড় চক্র, এত পরিচিতি বা প্রমাণ থাকার পরেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না মধ্যপ্রদেশ পুলিশের তরফে। পুলিশের শীর্ষকর্তাদের দাবি, এই গ্রামগুলিতে মাছি গলানোই দায়। অপরাধীদের আখড়া রক্ষা করতে সজাগ থাকে গোটা এলাকা।

Previous articleমেন্টর হিসেবে জহিরের সঙ্গে কথা লখনউ-এর : সূত্র
Next articleপুলিশের ভূমিকার পোস্টে ‘ভুল তথ্য’ ছিল: হাই কোর্টে স্বীকার সুখেন্দুশেখরের, পোস্ট মুছলেন সাংসদ!