চি.টিং আটকাতে পরীক্ষার্থীর অন্ত.র্বাস খুলে ‘চে.কিং’!

পরীক্ষা কেন্দ্রে চিটিং আটকানোর জন্য উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার (Gaighata, North 24 Parganas) ঠাকুরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে (Thakurnagar High School) যেভাবে মহিলা পরীক্ষার্থীর অন্তর্বাস খুলে হেনস্থা! ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় সর্বত্র। বিদ্যালয়ে চারটি কলেজের D.El.Ed-র পার্ট ওয়ান পরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষায় যাতে পরীক্ষার্থীরা কোনও ধরনের ‘চিট’ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে না ঢোকে, তা নিশ্চিত করতে চেকিংয়ে কড়াকড়ি আছে। মঙ্গলবার অভিযোগ ওঠে এক মহিলা পরীক্ষার্থীর অন্তর্বাস খুলিয়ে টর্চ জ্বেলে তাঁকে পরীক্ষা করা হয়। এরপরই পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। জানা গেছে সোমবার এই একই কাণ্ড ঘটার পর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও কোন লাভ হয়নি। ইতিমধ্যেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি বোর্ডের (West Bengal Board of Primary Education) সেন্টার ইনচার্জের (Centre Incharge) কাছে চিঠি দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।

পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ, চিটিং রুখতে চেকিং করার নামে মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া যেন একটা নতুন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাঁদের অন্তর্বাস খুলে দেখা হচ্ছিল তাঁদের মধ্যে একজনের ঋতুস্রাব হয়েছে। তারপরও একই ভাবে টর্চ জ্বেলে চেকিং করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানানো হলে তাঁর সাফাই, ‘পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশির দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। তারা সেই দায়িত্ব দিয়েছে প্রাইভেট এজেন্সিকে। ফলে এই ধরনের অভিযোগের দায় স্কুল কর্তৃপক্ষ নেবে না। কিন্তু প্রথম দিনের ঘটনার পর কী পদক্ষেপ করেছিলেন প্রধান শিক্ষক? তিনি বলছেন, শালীনতা বজায় রেখে চেক করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তো একই ঘটনা! অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরাও। এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজিতেশ বিশ্বাস (Ajitesh Biswas) বলেন সংশ্লিষ্ট দফতর গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেবে।


Previous articleR G Kar: প্রাক্তন অধ্যক্ষকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ হাই কোর্টের
Next articleআন্তঃমহাদেশীয় কাপের প্রস্তুতি শিবিরের ২৬ জনের দল ঘোষণা মার্কেজের