সিবিআই দফতরে (CBI) গিয়েও মিলল না সদুত্তর। আর সেকারণেই শুক্রবার কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। তবে বারবার স্বাস্থ্য ভাবনের তরফে কাজে ফেরার অনুরোধ করলেও লাভের লাভ মেলেনি। উল্টে কর্মবিরতির পথে হেঁটে দিনের পর দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রোগীমৃত্যু এবং দুর্ভোগের ছবি সামনে আসছে। তবুও আর জি কর (R G Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নির্যাতিতার যতদিন না বিচার হচ্ছে ততদিন কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকরা। তবে সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। এই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়ে ইতিমধ্যে ময়দানে নামলেও সিবিআই-র তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। শুক্রবার তদন্তের গতি ঠিক কোন পর্যায়ে তা জানতেই সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েও খালি হাতেই তাঁদের ফিরতে হয়েছে বলে খবর। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের থেকে কোনও উত্তরই মেলেনি বলে খবর।

এরপরই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা সাফ জানান, সুবিচারের প্রশ্নে কোনও কম্প্রোমাইজ নয়। ৯ অগাস্ট তদন্ত যেখানে ছিল এখনও সেই তিমিরেই রয়েছে। আর সেকারণেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তদন্ত তিমিরেই পড়ে রয়েছে। সিবিআইয়ের ভূমিকায় হতাশ হয়ে তাঁদের হুঁশিয়ারি এভাবে চলতে থাকলে চিকিৎসকদের সঙ্গে দ্রুত রাস্তায় নামবেন তাঁরা।


শুক্রবার বিকেলে আর জি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসক অনির্বাণ মাহাতো-সহ বেশ কয়েকজন পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। তদন্তের অগ্রগতি জানতেই এদিন সিবিআই দফতরে পৌঁছে যায় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল। তবে এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার আগেও আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সিবিআইয়ের উত্তর সন্তোষজনক হলে তবেই তাঁরা কর্মবিরতি তুলে কাজে ফিরবেন। নাহলে সেই অচলাবস্থাই জারি থাকবে। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করলেও তাঁদের থেকে আশানুরূপ উত্তর না পাওয়ায় ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের। তবে এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আগামীদিনে কোন পর্যায়ে পৌঁছয় সেদিকে নজর থাকবে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে এতদিন রাজ্যের উপর চাপ বাড়লেও এবার খারাপ সময় আসতে চলেছে সিবিআইয়ের সামনে।
