আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত, পলিগ্রাফ টেস্টেরও অনুমতি

আর জি কর কাণ্ডে (RG Kar Hospital) একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়কে এবার ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় বা জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল শিয়ালদহ কোর্ট। আজ, শুক্রবার কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) আদালতে হাজির করানো হয়েছিল সঞ্জয়কে। সেখানে ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর জন্য আবেদনও করেছিল সিবিআই। সেই অনুমতিও মিলেছে আদালতের তরফে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশ দেয় সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ সংক্রান্ত আবেদনের নিষ্পত্তি করতে হবে শুক্রবার বিকেল ৫ টার মধ্যে।

১৪ দিনের ফুলটার্ম পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ আজ আদালতে তোলা হয় আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে এদিন দুপুরে ধৃতকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। এরপর “ইনক্যামেরা” শুনানি হয়। অর্থাৎ, নিরাপত্তার স্বার্থে আদালত কক্ষের পরিবর্তে বিচারকের চেম্বারে হয়েছে শুনানি। সেখানে সাংবাদিক এবং বাইরের কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেখানেই বিচারিক সঞ্জয়কে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর। আপাতত সঞ্জয়ের ঠিকানা আলিপুরের প্রেসিডেন্সি জেল।

এদিকে আদালতে যখন শুনানি চলছে, তখন বাইরে বিচারের দাবিতে ওঠে স্লোগান। অনেকেই ধৃতের ‘ফাঁসি’ দাবি করেন। শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরের বাইরে ছিল করা নিরাপত্তা বলয়। একদিকে কলকাতা পুলিশ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী, দুই বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে প্রিজন ভ্যানে করে শিয়ালদা কোর্টে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয়কে। প্রিজন ভ্যানের মধ্যে ছিলেন ছয় থেকে সাত জন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিবিআই অফিসার। পিজন ভ্যানের সামনে ছিল দুটি পাইলট গাড়ি কলকাতা পুলিশের, পিছনে প্রিজন ভ্যান তারপর সিবিআই আধিকারিকের গাড়ি এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি। এই ভাবেই নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা শিয়ালদা কোর্টে। একইভাবে কোর্ট থেকে নিয়ে যাওয়া হবে প্রেসিডেন্সি জেলে।

আরও পড়ুন:কড়া নিরাপত্তায় সিজিও থেকে শিয়ালদহ কোর্টে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার