মানুষের হয়রানিতে ভ্রূক্ষেপ নেই, পদত্যাগের রাজনীতিতে ব্যস্ত ডাক্তাররা

দুসপ্তাহের বেশি সময় ধরে কর্মবিরতিতে আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত, হয়রান হচ্ছেন গরিব সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেইদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই আন্দোলনরত ডাক্তারদের, বরং পদত্যাগের রাজনীতিতেই বেশি আগ্রহ তাঁদের। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা স্পষ্ট জানান, এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। বরং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) সাসপেন্ড করার পাশাপাশি ১৪ তারিখ রাতে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পুলিশকে নিশানা করে কমিশনারের (CP)পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা। মুখে বলছেন আন্দোলন অরাজনৈতিক, অথচ প্রতিদিন একের পর এক দাবি তুলে কার্যত রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করার মধ্যে বিরোধী রাজনীতির ছাপ স্পষ্ট। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court), তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই (CBI), অথচ বারবার স্বাস্থ্য দফতর আর পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন অবস্থান বিক্ষোভরত ডাক্তাররা! তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, এই মুহূর্তে শহরে যে মিছিল হচ্ছে তার শেষটা হওয়া উচিত CGO কমপ্লেক্সের সামনে। সেটার অভিমুখ ‘নবান্ন’ হতে পারেনা। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের আবেগ যুক্তি সঙ্গত। কিন্তু মানুষের কথা ভেবে প্রতিবাদের অন্য কোনও ফরম্যাট বেছে নিতে পারেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে কোনওভাবেই ব্যাহত না হয় সেই কথা মাথায় রাখা উচিত।

রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা নিজেদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কিছু যুক্তি তৈরি করার চেষ্টা করেন। তাঁদের অভিযোগ, দোষীদের বাঁচানোর পিছনে এক অশুভ দুষ্ট চক্র অতিমাত্রায় সক্রিয়। সন্দীপ ঘোষকে কেন সাসপেন্ড করা হল না, এই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। আর জি করে হামলার ঘটনায় মূলত পুলিশকেই দোষী ঠাওরেছেন আন্দোলনকারীরা। কলকাতা পুলিশ (KP)সুবিচার পাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে বিনীত গোয়েলের (Vineet Kumar Goyal)পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে একটি গণ কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।


Previous articleরবিবার সারাদিন সিবিআইয়ের ত.ল্লাশি সন্দীপের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায়
Next articleআরজি করের ফরেন্সিক শিক্ষককে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গেল সিবিআই