অর্জুনের মদতে আন্দোলনের নামে হামলা! জখম একাধিক পুলিশ আধিকারিক, গাড়িতে আগুন

পুলিশের একটি গাড়িকে ঘিরে পাথর বৃষ্টি করতে থাকে গুণ্ডাবাহিনী। পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস চক্রবর্তীর বাম চোখে আঘাত লাগে

বিজেপির মুখোশ খুলে গেল নবান্ন অভিযানে। অর্জুন সিং গুণ্ডাবাহিনীকে নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে অরাজকতার চেষ্টা শুরু করেন। অর্জুন সিংয়ের বাহিনী পাথর তুলে পুলিশকে লক্ষ্য করে মারার চেষ্টা করলে সংবাদ মাধ্যমকে দেখে থেমে যাওয়ার ছবি স্পষ্ট ধরা পড়ে মঙ্গলবারের অরাজকতার মধ্যে। তারপরেও পুলিশকে ক্রমাগত হামলা করে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে যেতে থাকেন অর্জুন সিং। বিজেপি নেতৃত্বের এই ইন্ধনেই শহরের একাধিক জায়গায় পুলিশের হেলমেট খুলে, লাঠি দিয়ে মারার ছবি ধরা পড়ে। এমনকি প্রিন্সেপ ঘাটের দিকের মিছিল থেকে চক্ররেলের লাইনে ঢুকে রেললাইনের পাথর কুড়িয়েও পুলিশকে মারার পরিকল্পনা করেছিল হামলাবাজরা। পুলিশ প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনে সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দেয়। যদিও তারপরেই পুলিশকে রক্তাক্ত করে গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় প্রিন্সেপ ঘাট চত্বরে।

প্রথমেই কলেজ স্কোয়্যারের মিছিল সংগঠিত করার শুরু করেন অর্জুন সিং। পরে হেস্টিংসের দিক থেকে আসা মিছিলে একেবারে সামনে বেরিয়ে আসেন অর্জুন। ব্যারিকেড না ভাঙার জন্য আন্দোলনকারীদের একাংশ আবেদন করেছিল। যদিও পরে সেই ব্যারিকেডই ভেঙে বেরিয়ে আসে গুণ্ডাবাহিনী। এই মিছিল থেকে প্ররোচনা দিয়ে ইটবৃষ্টি শুরু হয় পুলিশের উপর। পুলিশ বাধ্য হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কিছু আন্দোলনকারী। কেন পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করল, যেন তারই উত্তর চাইতে পাথর লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে অর্জুনের বাহিনী। গুণ্ডাবাহিনীকে দেখা যায় পুলিশের লাঠি ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশকেই সেই লাঠি দিয়ে মারতে।

আবার মহাত্মা গান্ধী রোডে সুরেন্দ্র নাথ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পোস্টার, ব্যানার ছেঁড়ার রাজনীতিতে জড়ায় বিজেপির কর্মীরা। মহাত্মা গান্ধী রোডের মুখে যে মিছিল ছিল, সেখান থেকে হামলা চালানোর অভিযোগ। কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা বেরিয়ে এসে সেই হামলা প্রতিহত করে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশের তৎপরতায় দুপক্ষের গণ্ডগোল বড় আকার নিতে পারেনি।

তবে পরিকল্পনা মাফিক সবদিকের হামলা শেষ হলে প্রস্তুত রাখা ছিল দক্ষিণ কলকাতার দিক থেকে একটি মিছিল। প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে সেই মিছিল থেকে মুহুর্মুহু শুরু হয় পুলিশের উপর ইট বৃষ্টি। পুলিশ বারবার সেই ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে এগিয়ে গেলে পুলিশকে হুমকি দেওয়া হতে থাকে। শেষে প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনের লাইন থেকে পাথর কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য জড়ো হয় একটা বিরাট অংশ। পুলিশ সেই উদ্দেশ্য আগেই অনুমান করে প্রস্তুত ছিল। দ্রুত লাইনে উঠে গুণ্ডাবাহিনীকে পাথর ছোড়া থেকে আটকানো হয়।

তারপরেই আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের একটি গাড়িকে ঘিরে পাথর বৃষ্টি করতে থাকে গুণ্ডাবাহিনী। পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস চক্রবর্তীর বাম চোখে আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওমতে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ কর্মীরা জানান, চালকের তৎপরতায় কোনওমতে বাকি কর্মীরা রক্ষা পান। গাড়ির কাঁচ ভেঙে ভিতরে পাথর ভরে যায়। এরপর একটি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা।

Previous articleনি.রাপত্তা বেআব্রু,অন্ধ্রপ্রদেশে হাসপাতালের বে.ডে মহিলা চিকিৎসকের মা.থা ঠুকে দিল রোগী!
Next articleআর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের বাইক নথিভুক্ত কেন কমিশনারের নামে? ব্যাখ্যা দিল পুলিশ