সাঁতরাগাছিতে পুলিশকে ইট-লাঠি! ‘বিজেপির গুণ্ডাদের’ শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ পুলিশের

ছাত্রদের নামে আন্দোলন করা বাহিনী প্রথমে একের পর এক ব্যারিকেড ভাঙে। তারপরই শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি

শান্তিপূর্ণ নবান্ন অভিযানের নামে কিছু গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে সাঁতরাগাছিতে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা আন্দোলনকারীদের। পুলিশের দিকে ইট, লাঠি ধেয়ে আসতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে পুলিশ বাহিনী। ব্যারিকেড ভাঙতেই অল্প সংখ্যক আন্দোলনকারীকে নিয়ন্ত্রণ করে সাঁতরাগাছির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বেআইনি নবান্ন অভিযান নিয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল রাজ্য পুলিশ। সাঁতরাগাছিতে ‘অন্তর্ঘাতমূলক’ কাজের অভিযোগ তোলে শাসকদল।

সকাল থেকেই সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড তৈরি করে অশান্তি আটকানোর প্রক্রিয়া জারি রেখেছিল রাজ্য পুলিশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অল্প পরিমাণ জমায়েত দেখা যায়। ছাত্রদের নামে আন্দোলন করা বাহিনী প্রথমে একের পর এক ব্যারিকেড ভাঙে। তারপরই শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। পতাকার লাঠি খুলে নিয়েও ছুঁড়তে দেখা যায়। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাহিনীর দিকে তেড়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তবে তারপরে বার বার বিভিন্ন গলি দিয়ে, সাঁতরাগাছি স্টেশনের দিক থেকে ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে আন্দোলনকারীরা। আর বারবার ইটবৃষ্টি করা হয়।

গোটা ঘটনায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “পুলিশ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের স্পেস দিয়েছিল। আপনাদের লোক নেই। কয়েকজন গুণ্ডাকে লেলিয়ে দিয়ে অশান্তি করার চেষ্টা করেছিলেন। ব্যারিকেড ভাঙতে গেছেন, পুলিশকে ইট ছুঁড়েছেন। একটা সময়ের পরে তো পুলিশ বাধা দেবে। ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়ে যদি অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করিয়ে দেওয়া হয়, পুলিশ তো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”

Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম 
Next articleনিজেদের ইন্ডাস্ট্রিতেই মহিলা হেনস্থা, গর্জে উঠল বাংলা বিনোদন জগত