মোদির গুজরাটে ফের ভাঙল ব্রিজ! à§« বছরেই ‘সুশাসনে’র ছবি প্রকাশ্যে

রাজ্য থেকে কার্যত বিছিন্ন হাবিয়াসর (Habiyasar) গ্রাম ও ৮০০ গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, সেতু তৈরির সময় পদ্ধতিগত ত্রুটি হচ্ছে বলে দাবি

বিহারে ব্রিজ ভাঙা নিয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারের অপশাসনের চেহারা প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার খোদ নরেন্দ্র মোদির গুজরাটেই (Gujarat) ভেঙে পড়ল ব্রিজ। তৈরি হওয়ার মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে সুরেন্দ্রনগরের (Surendernagar) ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় উঠে এসেছে সরকারি কাজে দুর্নীতির তত্ত্ব। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও মুখ পুড়েছে ডবল ইঞ্জিন গুজরাটের।

গুজরাটের সুরেন্দ্রনগর জেলার নানী মোরশাল গ্রাম সংলগ্ন একটি গ্রামের বাঁধ থেকে জল উপচে পড়তেই নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। চটিলা শহরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট কে কে শর্মা জানিয়েছেন, ভগভো (Bhogavo) নদীর ওপরে থাকা ১০০ মিটারের সেতুটি শহরের সঙ্গে হাবিয়াসর (Habiyasar) নামের একটি গ্রামকে সংযুক্ত করেছিল। নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় হুড়মুড়িয়ে ভাঙল সেতুটি।

গত ৩দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাট। মঙ্গলবার সকালের বৃষ্টিতে দ্বারকা, সুরেন্দ্রনগর, খেদা অঞ্চলও বিধ্বস্ত হয়েছে। তারই মধ্যে সেতু বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত সুরেন্দ্রনগর জেলার একটা বড় অংশ। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা আলাদাভাবে কোনও অভিযোগ জানাননি বলেই দাবি জেলাশাসকের। তবে সেতুটি ভেঙে পড়ার ভিডিও তুলেছেন খোদ গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান।

ঘটনার পরই ধামাচাপা দেওয়ার উদ্যোগ শুরু জেলা প্রশাসনের। সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট বলতেই পারলেন না কবে সেতু তৈরি হয়েছিল। তবে পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি মাত্র ৫ বছর আগে তৈরি হয়েছিল সেতুটি। বলেন, যেহেতু গ্রাম ও শহরের মধ্যে তেমন বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই তাই রাজ্য থেকে কার্যত বিছিন্ন হাবিয়াসর (Habiyasar) গ্রাম ও ৮০০ গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, সেতু তৈরির সময় পদ্ধতিগত ত্রুটি হচ্ছে বলে দাবি করা হলেও ঠিকাদার নাকি বলেছিলেন, এটাই সেতু তৈরির নয়া পদ্ধতি। পাঁচ বছরে কখনও সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়নি বলেই দাবি তাঁর।