Monday, November 3, 2025

কর্মবিরতিতে ছুটির মেজাজ আর জি করে, স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ মোবাইলে খেলছেন গেম, কেউ দিচ্ছেন ভাতঘুম

Date:

কেউ নিশ্চিন্তে ঘুম দিচ্ছেন তো কেউ মোবাইলে গেম খেলছেন। কেউ আবার টিকিট কাউন্টারে বসে খোশগল্পে মশগুল। কোনও কাউন্টারে পড়ে রয়েছে ফাঁকা চেয়ার-টেবিল। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি হল আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) বর্তমান ছবি! ফাঁকা আউটডোরে হাতেগোনা কয়েকজন রোগী, ফলে আর জি করে কার্যত ছুটির মেজাজে দিন কাটছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। আর হাতেগোনা যে সমস্ত রোগী এসেছিলেন তাঁদের বক্তব্য, “ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়েছে বহুক্ষণ।”

এই সপ্তাহ তিনেক আগেও সকাল-দুপুর-বিকেল, আর জি করের (RG Kar Hospital) আউটডোরে পা ফেলা যেত না। শ্বাস ফেলার ফুরসত পেতেন না চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাজার হাজার রোগী ভিড়ে পরিপূর্ণ থাকত আউটডোর। বর্তমান অবস্থায় আর জি করের হাল যে কোনও গ্রামের ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকেও লজ্জা দেবে।

আউটডোরের চারতলার চক্ষুবিভাগ ফাঁকা খাঁ খাঁ করছে। ৪০১, এ কাউন্টারে টিকিট এন্ট্রির জন্য রাখা চেয়ারে বসে দিব্যি ভাত ঘুম দিচ্ছেন এক কর্মী। ওই ফ্লোরের অপর একটি কাউন্টারে দীর্ঘ সময় কাউকে দেখাই গেল না। এক রোগী এসে খোঁজ করে কাউকে না পেয়ে ঘুরে নীচে চলে গেলেন। ওপিডির সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির একাধিক চেয়ার-টেবিল ফাঁকা। এক-দু’জন রোগী প্রেসক্রিপশন হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মেডিসিন ওপিডিও কার্যত ফাঁকা। ভিতরে নিরাপত্তা বসে রয়েছেন। দাঁড়িয়ে আছেন একজন মাত্র রোগী। অর্থোপেডিক ওপিডির চিত্র একই।

আরও পড়ুন:বাড়িতে আটকে আয়াকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত কীর্তিমান বিজেপি নেতা

 

Related articles

ঝাড়গ্রামে শিল্পের প্রসারে বড় পদক্ষেপ, জমি ফ্রি-হোল্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত রাজ্যের

শিল্পে বিনিয়োগের গতি বাড়াতে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত...

‘বন্দেমাতরম’-এর সার্ধ শতবর্ষে রাজ্যজুড়ে উদযাপন, মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার 

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি ‘বন্দেমাতরম’-এর সার্ধ শতবর্ষ উদযাপন করবে রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত...

বিদেশি বন্দি-মুক্তির দাবি! জনস্বার্থ মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে 

রাজ্যে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা সংশোধনীর কাজ বা এসআইআর। ঠিক এই সময়েই আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের...

রাজ্যের প্রতিটি জেলায় খুলছে সোশ্যাল মিডিয়া ইউনিট, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার

রাজ্যের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ এবার আরও দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছবে সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে। সেই লক্ষ্যেই প্রতিটি জেলায় পৃথক সোশ্যাল...
Exit mobile version