দিল্লির বাইরে ২০০ দিন ধরে অপেক্ষারত কৃষকদের পাশে এবার অলিম্পিয়ান কুস্তিগির বিনেশ ফোগাট। কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার শিকার কুস্তিগির বিনেশ নিজেও কৃষক পরিবারের কন্যা। সেই সঙ্গে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের উৎপীড়নের শিকার বিনেশ তাই কৃষক আন্দোলন মঞ্চ থেকে দিলেন পাশে থাকার বার্তা। সেই সঙ্গে দাবি জানালেন, যেন দিল্লির সরকার দেশের কৃষকদের কথা শোনে।
দিল্লি-পঞ্জাব সীমান্তের শম্ভু সীমান্তে ২০০ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন দেশের কৃষকরা। কেন্দ্রের মোদি সরকার তাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি। কার্যত কৃষকস্বার্থে কোনও দাবি মানার পথেই যাননি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মোদি সরকার ভুল স্বীকার করেও সংশোধনের পথে হাঁটেনি। শম্ভু সীমান্তে আন্দোলন মঞ্চে এসে বিনেশও সেই দাবিই জানান। তিনি বলেন, “বিশ্বমঞ্চে আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। কিন্তু যখন আমাদের পরিবার দুঃখে থাকে তখন আমরা কোনও প্রতিকার করতে পারি না। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব ওনাদের কথা শুনুন। সরকার নিজেদের ভুল আগেরবারই স্বীকার করে নিয়েছিল, এবার সরকার নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করুক। দেশের মানুষ যদি রাস্তায় বসে থাকে তবে দেশ কখনই এগোতে পারে না।”
মঞ্চে সরকারের উদ্দেশে বিনেশ দাবি জানান কৃষকদের কথা শুনতে তাঁদের দিল্লিতে ঢুকতে দিতে হবে। তিনি বলেন, “দেশের নাগরিক হিসাবে আমাদেরও আন্দোলনের অধিকার রয়েছে। সেই আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত দাবি করা অনুচিত। আমি কৃষক পরিবারে জন্মেছি, তাই জানি আমার মা কীভাবে আমায় বড় করেছেন। সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি কৃষকদের কথা শুনুন ও এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করুন।” সেই সঙ্গে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “আমি কৃষকদের পাশে রয়েছি এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি যেন কৃষকদের তিনি আরও শক্তিশালী করেন।”
শম্ভু সীমান্তে খানউরিতে টানা ২০০ দিন ধরে দিল্লি ঢোকার অপেক্ষা করছেন কৃষকরা। সেই উপলক্ষ্যে এমএসপি-র নিশ্চয়তা সহ আর কোন কোন দাবিতে জোরালো আন্দোলন তাঁরা শুরু করবেন, শনিবার তার রূপরেখাও তৈরি হবে। সেই সঙ্গে আসন্ন হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও যে এর প্রভাব পড়তে চলেছে, তারও দাবি জানান তাঁরা।