বাংলাদেশে ফের ‘স্বৈরাচারী’ শাসনের ভয়! প্রতিষ্ঠা দিবসে আশঙ্কায় বিএনপি

নির্বাচন করার আগে বিএনপি (BNP)-কে ঘর গোছাতে গেলে তারেকের দেশে ফেরা জরুরি মনে করছে দল। সেই সঙ্গে বহু মিথ্যা মামলায় গত পনেরো বছরে বহু নেতা কর্মী জেলে

প্রতিষ্ঠা দিবসেও দেশে পা রাখতে পারলেন না বাংলাদেশের বর্তমান সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) পুত্র তারেক রহমান (Tarek Rahman)। তবে অজ্ঞাতবাস থেকে দলের জন্য বার্তা দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে যাতে আবারও স্বৈরাচারী সরকার কোনওভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে তার বার্তা দিলেন। কার্যত হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরালেও বিএনপি (BNP) যে ভালো অবস্থানে উঠে আসতে পারেনি, তার ইঙ্গিত তারেকের কথায়। সেক্ষেত্রে স্বৈরাচারী বলে জামাত-ই-ইসলামকেই (Jamaat e Islami) নির্দেশ করেছেন তারেক, রাজনৈতিক মহলের দাবি।

বাংলাদেশের ক্ষমতা হস্তান্তরের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সময়ই ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা থেকে সৌন্দর্যপূর্ণ স্থাপত্যের উপর হামলায় জামাতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। যার সাম্প্রতিক সংযোজন গুলশানে দুই পুলিশ আধিকারিকের স্মৃতি স্মারক ভেঙে দেওয়ার ঘটনা। বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় শহিদ পুলিশ আধিকারিকদের স্মারক ভাঙায় জঙ্গি মদতদাতাদের নামই উঠে এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পরে জামাত শীর্ষ নেতারা জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। একাধিক জায়গায় আল কায়দা ঘনিষ্ঠ নেতারা জেল ভেঙে বেরিয়েছে বলেও সংবাদ সংস্থাগুলি জানায়। সর্বশেষ, আল কায়দার (Al Qaeda) শাখা সংগঠনের নেতা জসিমুদ্দিন রহমানিকে জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত।

শনিবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস (Mohammed Yunus)। সেখানে বিএনপির থেকে জামাত নেতাদের কথায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলেও বিএনপির দাবি। তবে যা খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) দলকে ভাবাচ্ছে, তা হল নতুন সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা। প্রধান উপদেষ্টা একবারও সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনের কথা বলছেন না অভিযোগ বিএনপির। ঠিক তেমনই বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে ফেরানোর কোনও ব্যবস্থাই অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে না।

তারেককে দেশে ফেরাতে গেলে তার বিরুদ্ধে যে সব মামলা রয়েছে তা তুলে নিতে হবে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া বিশ বাঁও জলে। নির্বাচন করার আগে বিএনপি (BNP)-কে ঘর গোছাতে গেলে তারেকের দেশে ফেরা জরুরি মনে করছে দল। সেই সঙ্গে বহু মিথ্যা মামলায় গত পনেরো বছরে বহু নেতা কর্মী জেলের ভিতরে রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের ফেরানোর প্রক্রিয়ায় ঢিলেমি দেখাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দেশে নির্ভয়েই রয়েছে জামাত নেতারা। এমনকি এখনই নিষেধাজ্ঞা তোলা নিয়ে মামলার কথাও তাঁরা ভাবছেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপর জামাতের এই প্রতিপত্তিতে চিন্তার ভাঁজ খালেদা জিয়ার দলের নেতাদের কপালে। যদিও এর মধ্যে আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ করার যে মামলা দায়ের হয়েছিল, সেই মামলা খারিজ হয়েছে। তবে তাতে আদৌ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত দলের নেতা কর্মীরা হামলা, খুনের হাত থেকে রেহাই পাবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ থেকে যাচ্ছে রাজনীতিকদের মধ্যে।

Previous articleR G Kar: আচমকাই অসুস্থ! ICU-তে ভর্তি সন্দীপ ঘনিষ্ঠ শিক্ষক দেবাশিস
Next articleকোহলির সঙ্গে কেমন সম্পর্ক মাহির ? মুখ খুললেন স্বয়ং ধোনি নেজেই