পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আসার পরও অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। এই নিয়ে ফিয়ার্স লেনে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের তিন দফা আলোচনা হলেও বেরাল না কোনও সমাধানসূত্র। রাস্তা দখল থেকে রাত দখলের এমনকি দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থানে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাক্তাররা।
এর আগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, চিকিৎসকদের ২০জনের প্রতিনিধি দল লালবাজার পর্যন্ত গিয়ে সিপি বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। বলেছিলেন, ফিয়ার্স লেনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও আন্দোলন করলেও পুলিশের আপত্তি নেই। তারপরে আরও একবার একই বার্তা দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। তৃতীয়বারে অ্যাডিশনাল সিপি এসে বলেন, জমায়েত থাকুক ফিয়ার্স লেনেই। প্রতিনিধি দল সরাসরি লালবাজারে গিয়ে তাঁদের দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দিতে পারেন। তবে তা মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, ফিয়ার্স লেন থেকে ব্যারিকেড তুলে নিয়ে মিছিলকে যেতে দিতে হবে বেন্টিঙ্ক পর্যন্ত। সেখানে মিছিল অবস্থান করবে। ওখান থেকে ২০জনের প্রতিনিধি দল যাবে লালবাজার পর্যন্ত। দাবি তোলা হয়, তা না হলে হয় সিপি এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে দাবিপত্র জমা নিক বা ইস্তফা দিক। তবে পুলিশের বক্তব্য, লালবাজার থেকে আধ ঘণ্টা দূরত্বের অঞ্চল বেন্টিঙ্ক থেকে ১৬৬ধারা জারি তাই কোনও মতেই আন্দোলনকারীদের যেতে দেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- ইডি-১, আপ-২; এক গ্রেফতারির দিনেই জেলমুক্তি দুজনের
আন্দোলনকারী ডাক্তারদের তরফে সিপিকে দেওয়া ১০ মিনিটের ডেডলাইন পেরিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি হয়ে গেলেও এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা। ফিয়ার্স লেনে ব্যারিকেড না ভেঙেই অবস্থানস্থল থেকেই লাউড স্পিকারে গান চালিয়ে, স্লোগান দিয়ে ও ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে নিজেদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চালাতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাস্তার ওপরেই প্রতিবাদের ছবি আঁকার পাশাপাশি লিখতে শুরু করেন স্লোগান। অন্যদিকে, ব্যারিকেডের অপর প্রান্তে বসে ও দাঁড়িয়ে সজাগ পুলিশ বাহিনীও। এখনও পর্যন্ত আন্দোলনকারী ও পুলিশ দুপক্ষেই নিজেদের অবস্থানে অনড়।