এবার পলিগ্রাফ টেস্টে বিস্ফোরক দাবি, আর জি কর কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত এবং একমাত্র গ্রেফতার সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় (Sanjay Ray)। সঞ্জয়ের দাবি, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনার সঙ্গে সে কোনওভাবে জড়িত নয়। সে নির্দোষ। পলিগ্রাফ টেস্টে শুধু নয়, এর আগে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল সঞ্জয়। সেবারও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিল সে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের মামলার অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় (Sanjay Ray)। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ ও পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেটাই এই তদন্তে এখনও পর্যন্ত শেষ গ্রেফতার। সঞ্জয়ের আইনজীবী কবিতা সরকারও দাবি করছেন তাঁর মক্কেল নির্দোষ এবং তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সঞ্জয়ের আইনজীবীর মতে, পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময়ও সে নির্দোষ, সেটা বোঝা গিয়েছে। সঞ্জয় রায়কে ১০টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ডাক্তারকে খুনের অভিযোগও ছিল। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, অভিযুক্ত সঞ্জয় উত্তরে বলেন, সে কাউকে খুন করেননি।
প্রতিবেদন অনুসারে, পলিগ্রাফ টেস্টে সঞ্জয় রায় দাবি করে, হাসপাতালের সেমিনার হলে ঢুকে সে দেখে ওই মহিলা চিকিৎসক অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিলেন। সঞ্জয় আরও দাবি, ৯ আগস্ট সেমিনার হলের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই চিকিৎসককে দেখেছে সে। তারপরই ভয় পেয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন, সঞ্জয় নির্দোষ হলে গ্রেফতারের পর পুলিশকে কেন সে কথা জানায় নি? কেন বলছিল, তাকে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হোক? উত্তরে সে বলে, এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল যে, তখন সে মনে করেছিল কেউ তাকে বিশ্বাস করবে না। ফলে সঞ্জয়ের এই বয়ান পরিবর্তন, আদালতে গোয়েন্দাদের কিছুটা সমস্যায় ফেলতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
অন্যদিকে অসমর্থিত একাধিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে যে ডিএনএ রিপোর্ট এসেছে, সেখানে সঞ্জয়-ই ধর্ষক সেটা আবার প্রমাণিত। আবার সঞ্জয়ের সাইকোমেট্রিক টেস্টের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তকারীরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত যে ধৃত সঞ্জয় বিকৃত যৌনতায় আক্রান্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে অপরাধ বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ”সেক্সুয়ালি পারভারটেড”।
আরও পড়ুন: ‘অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড’: মুখ্যমন্ত্রী কথা মতো মঙ্গলে বিধায়নসভায় পেশ