রাজ্যপালের ‘সংকট’ কাটার পরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিয়োগে তৎপর রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য পদে নিযুক্তির জন্য আবেদন করেছেন ২৫০০ জন ব্যক্তি। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে উপাচার্য নিয়োগ মামলার শুনানিতে তথ্য দেন রাজ্যের তরফে সওয়াল করা প্রবীণ আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত। সোমবারের শুনানিতে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি কমিটির মাধ্যমেই নিয়োগের প্রক্রিয়া জারি রাখার নির্দেশ বহাল রাখে।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন কমিটিই রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি দেখভাল করছেন। তাঁরাই বিভিন্ন ব্যক্তিদের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখছেন। তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানিও। ৬ সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি। তখন আবার উপাচার্য নিয়োগের অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে।

রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের তৈরি তালিকায় অনুমোদন না দিয়ে দিনের পর দিন ফেলে রেখেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এর ফলে উচ্চশিক্ষায় পাঠরত পড়ুয়ারা প্রবল সমস্যায় পড়েন। প্রশাসনিক সমস্যা তৈরি হয় রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই আবহে রাজ্যপাল তথা আচার্যের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিতেই সর্বোচ্চ আদালতের তরফে রাজ্যপাল তথা আচার্যকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার স্বার্থে তাঁরা কোনও প্রকার অনিয়ম বরদাস্ত করবেন না, সাফ জানান শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা।
