Sunday, November 16, 2025

চাপ বাড়াতে ‘অপরাজিতা’ বিলের প্রতিলিপি মোদি-শাহের কাছেও পাঠাচ্ছে রাজ্য   

Date:

আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য।একাধিকবার পথে নেমে ন্যায়বিচার চাইছেন আমজনতা।রাজ্য ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন।ইতিমধ্যেই বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী বিল পাশ করিয়েছে রাজ্য সরকার। যার নাম ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’। ধর্ষকের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির কথা বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে এই বিলে।বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয় বিলটি। রাজ্যের আনা বিলটিতে সমর্থন জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও। রীতি অনুযায়ী এই বিলটি আইনে পরিণত করার জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে।তারপর সেই বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্য যাবে।

জানা গিয়েছে, সেই বিলটি রাজভবনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও পাঠাবেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।সাংবিধানিক রীতি না হলেও জরুরি পরিস্থিতিতে গুরুত্ব বোঝাতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।এই বিল দ্রুত কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে চিঠিও দিয়েছেন।

পরিষদীয় রীতি অনুযায়ী বিধানসভায় যে কোনও বিল পাশ হলেই তা সরাসরি পাঠানো হয় রাজভবনে রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য। রাজ্যপাল চাইলে ওই বিল স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করার জন্য স্বীকৃতি দিতে পারেন৷ অথবা তিনি চাইলে বিল সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ চাইতেই পারেন। প্রয়োজনে সেটা রাজ্য সরকারের কাছে ফেরত পাঠাতে পারেন।একইভাবে রাজ্যপাল যদি মনে করেন এই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে রাষ্ট্রপতি ভবনেও তা পাঠাতে পারেন। এমনটাই সাংবিধানিক পদ্ধতি ৷

কী আছে সেই বিলে?সেখানে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে যদি একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকে, এমনকী অত্যাচারের ভয়াবহতায় নির্যাতিতা যদি কোমায় চলে যান বা অচৈতন্য হয়ে পড়েন,সেক্ষেত্রে দোষ প্রামাণিত হলে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হবে।ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলার নিস্পত্তির কথাও বলা আছে ওই বিলে।

ওয়াকিবহালমহলের মতে, রাজনৈতিকভাবে এটা চাপ বাড়ানোর কৌশল রাজ্যের। ‘অপরাজিতা’ বিল পেশের দিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা বলেন, দায়িত্বশীল বিরোধী হিসাবে বিলটিকে পাশ করাতে সাহায্য করবেন তাঁরা। এটিকে আইনে পরিণত করার দায়িত্ব সরকারের।আর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালকে বলুন বিলে তাড়াতাড়ি অনুমোদন দিতে।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, রাজ্যপাল বিলটি অনুমোদন দিতে গড়িমসি করতে পারেন বা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন।সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই আগেভাগে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে বিলের প্রতিলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 











Related articles

অনশনের ১২ দিন! ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া দলপতির পাশে রাজ্যের মন্ত্রীরা

ঠাকুরনগরে নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবি মতুয়াদের। তাঁদের দাবির সমর্থনে অনশন মঞ্চে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও (Mamatabala Thakur)।...

হৃদয়ে ট্রামের ধাক্কা’, উৎপল সিনহার কলম

... জীবনের এই স্বাদ -- সুপক্ক যবের ঘ্রাণ হেমন্তের বিকেলের -- তোমার অসহ্য বোধ হলো ; মর্গে কি হৃদয় জুড়োলো মর্গে --...

স্বামীর নামে ভুল! SIR ফর্ম হাতে পেয়েও অশান্তি, আত্মঘাতী মহিলা

ভোটার তালিকা সংশোধন করতে গিয়ে যে আতঙ্কের পরিবেশ নির্বাচন কমিশন গোটা রাজ্যে তৈরি করেছে তাতে প্রায় প্রতিদিন একজন...

ইডেনে হারের নেপথ্যে গম্ভীরের রণকৌশল! WTC তালিকাতেও পতন ভারতের

ইডেনে লজ্জার হার ভারতের(India)। পছন্দ মতো পিচ বানিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে জয় অধরাই থাকল ভারতের(India)। টিম...
Exit mobile version