‘অপরাজিতা‘: টেকনিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে সংঘাতের ইঙ্গিত রাজ্যপাল বোসের, পাঠানো হবে- জানালেন স্পিকার

নারী সুরক্ষায় বিধানসভায় পাশ হওয়া ‘অপরাজিতা উইম্যান অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিন্যাল লস সংশোধনী বিল ২০২৪’ বিল নিয়েও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের ইঙ্গিত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C V Anand Bose)। প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ (Technical Report) পাঠায়নি রাজ্য। এই অজুহাতে বিলে সম্মতি না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। তবে, শুক্রবার, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজনীয় নথি আজকের মধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে, রাজ্যপাল নিজেও বিলটি দেখে সই করতে পারতেন। সংবিধানে সেই বিধান আছে।

ধর্ষণ রুখতে কড়া আইনিরে ব্যবস্থা করতে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (Assembly) ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ পেশ হয়। ‘অপরাজিতা’ বিলকে সমর্থন করলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি রেজাল্ট দেখতে চাই। ওই বিলকে আগে আইনে পরিণত করুন।“ তারও জবাবে মমতা বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে বলুন বিলে রাজ্যপালকে বলুন সই করতে। তার পরেই দেখবেন রুলস হয়ে গিয়েছে।“৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ হওয়ার পরে তা রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। বিল পাশের পর নিয়ম মেনে সেটি পাঠানো হয় রাজভবনে। কিন্তু রাজভবন সূত্রে খবর, সরকারের আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল বোস। কারণ, বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ পাঠায়নি রাজ্য। রাজ্যের যে কোনও বিল নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারেন রাজ্যপাল। কোনও বিল কেন, কী ভাবে আনা হয়েছে- সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই জমা দিতে হয়। সেটাই ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’। রাজ্যের উপর ওই বিল কার্যকর করতে কতটা আর্থিক দায় আসবে, তহবিল থেকে কত খরচ হবে- সেটিও রিপোর্টে উল্লেখ থাকে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় আইনে সঙ্গে রাজ্যের আনা বিলের সমাঞ্জস্য কতটা, কোনও সংঘাত হচ্ছে কি না- তাও বিস্তারিত জানাতে হয়। ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়েও এই সংক্রান্ত তথ্যগুলিই রাজ্যপাল জানতে চাইছেন।

এই বিষয়ে বিধানসভার স্পিকার বলেন, “রাজভবন এখনও এ বিষয়ে বিধানসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আজকের মধ্যেই ওই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে।“ এর পরেই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকের মধ্যেই বিলের Technical Report চলে যাবে। অবিলম্বে পাশ করান উচিত রাজ্যপালের। অন্য রাজ্য সঙ্গে এখানকার বিষয় আলাদা। এখানে সাম্প্রতিক ঘটনায় রাজ্যবাসীর মনে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তার জন্য দ্রুত এই বিল আইনে পরিণত করা উচিৎ। সংবিধানে সবই রয়েছে। প্রয়োজন ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ না পেলেও বিল যাচাই করে নিতে পারেন রাজ্যপাল।“










Previous articleডাকাতি-খুনে ৫ জনের যাবজ্জীবন, ব্যারাকপুর কোর্ট চত্বরেই হুমকি ডাকাতদের!
Next articleমধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে ধর্ষণ! ‘পর্দার আড়ালো লুকানো’ মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ তৃণমূলের