“প্রতিবাদ না করলে মানসিক হেনস্থা আবার করলে অপমান…” এবার ঋতুপর্ণার পাশে দাঁড়ালেন শতাব্দী

দুদিন আগে আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ জানাতে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে গিয়ে হেনস্থা হতে হয় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। এবার তাঁর পাশে দাঁড়ালেন আরেক অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়।

এদিন শতাব্দী বলেন, প্রতিবাদে না গেলে নানাভাবে মানসিক হেনস্থা করা হচ্ছে। আবার সুবিচার চেয়ে প্রতিবাদে গেলে সেখানেও অপমান করে হেনস্থা করা হচ্ছে! গেলেও দোষ, না গেলেও দোষ! একজন শিল্পী তো কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে যাননি, তিনি গিয়েছিলেন ওই চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে। একজন শিল্পী কিছু না বলে চুপ থাকলে তাঁকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। আবার প্রতিবাদে সমর্থন জানাতে গেলে গো-ব্যাক শুনতে হচ্ছে। ওঁরা চাইছেন কী? কোথাও না কোথাও এই আন্দোলনের পিছনে রাজনীতির ইন্ধন আছে। তারপরেও আমরা বলব, সুবিচার চাই। পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে প্রত্যেকটা মানুষের একেক রকমের প্রতিবাদের ভাষা থাকে, তাকে ব্যঙ্গ না করে একত্রিতভাবে সুবিচারের দাবি তোলাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। শুক্রবার বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এক অনুষ্ঠানে বললেন শতাব্দী। জানােলন, সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত। একাংশ মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার সুবিচার চাইছেন, আবার একাংশ দুর্নীতি প্রসঙ্গে অত্যধিক উচ্ছ্বসিত। কিন্তু আমরা সকলেই চাই, বেদনাদায়ক মৃত্যুর সুবিচার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখনও নতুন কোনও তথ্য দিতে পারেনি। সত্যিই আরও কেউ জড়িত থাকলে দ্রুত জনসমক্ষে আনুক। আমরা সবাই জানতে চাই, কী কারণে আমাদের বোনকে খুন হতে হল।

আরও পড়ুন- ওয়াকফ সংশোধনী বিল: জেপিসি বৈঠকে বিরোধীদের চাপে কোণঠাসা মোদি সরকার

 

Previous articleওয়াকফ সংশোধনী বিল: জেপিসি বৈঠকে বিরোধীদের চাপে কোণঠাসা মোদি সরকার
Next articleএবার গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা সরাসরি জানাতে পারবেন অভিযোগ, টোল ফ্রি নম্বর চালু রাজ্যের