মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগপত্র দিলেও আটকাচ্ছে কুচক্রীরা, প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে হাই কোর্টে SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষায় (SLST) শূন্য পদ তৈরি হয়। দেওয়া হয় নিয়োগপত্র। কিন্তু কুচক্রীদের কারণে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা ঠুকে সেই নিয়োগে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার হাইকোর্ট অভিযানের ডাক দেন শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু আকাশবাণীর সামনে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। প্রথম থেকেই এই চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের সমস্যা জানিয়ে আসছেন তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। এদিনও আটকে পড়ে তাঁরা কুণালের স্মরণাপন্ন হন। তৃণমূল নেতা গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে ৬জনের প্রতিনিধি দল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

SLST-র যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা জানান, তাঁদের ধর্না-আন্দোলনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সব যোগ্য প্রার্থীর জন্য শূন্যপদ করেন এবং তাঁরা স্কুলভিত্তিক সুপারিশপত্রও পেয়ে যান। কিন্তু সেই নিয়োগে বাধা দিতে আসরে নামে কুচক্রীরা। এক অকৃতকার্য প্রার্থীর আবেদন সামনে রেখে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন কয়েকজন আইনজীবী। সব নিয়োগ আটকে যায় হাই কোর্টের বিশেষ বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশে।এর জেরে আইনি জটিলতায় বারবার আটকাচ্ছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগের মুখে গিয়েও দুবছর ধরে হয়রান হচ্ছেন, ন্যায্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবারগুলি। যেহেতু হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই কারণে SLST-র চাকরি প্রার্থীরা প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে হাই কোর্ট অভিযানের ডাক দেন।  কিন্তু এদিন আকাশবাণীর সামনে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। প্রথম থেকে এঁরা আন্দোলন চলাকালীন কুণালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনিও তাঁদের সমস্যা শুনে যথাযথ জায়গায় সেটি জানিয়ে দেন। সেই কারণেই এদিন এই পরিস্থিতিতে ফের তৃণমূল নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। কুণালের হস্তক্ষেপে ৬জনের প্রতিনিধি দলকে হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতির কাছে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের কুণাল আশ্বাস দেন, “রাজ্য সরকার আপনাদের চাকরি দিতে প্রস্তুত। এই টালবাহানা যথাযথ নয়। আপনারা আজ আদালতে গিয়ে আপনাদের দাবি জানান। আমি কথা বলছি বাকিটা।”

পরে পুলিশ ছজন চাকরিপ্রার্থীকে গাড়ি করে হাই কোর্টে নিয়ে যায়। তাঁরা গিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।










Previous articleবিজেপি রাজ্যেই নিরাপত্তাহীন রেল! লাইনে নাশকতার ছক
Next articleচড়ের পরে জুতো! সন্দীপকে ঘিরে আলিপুর আদালতের এজলাসেই বিক্ষোভ