রাজ্যপালকেই সামাজিক বয়কট করা উচিত, মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্যের পাল্টা তোপ কুণালের

আর জি করের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক তৃতীয় দিনেও ভেস্তে যাওয়ার পরে হঠাৎই সরব রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে ‘অপমানজনক’ শব্দ ব্যবহার করেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিক বয়কট করার কথা বলেন। পাল্টা রাজভবনে যে অশালীন অভিযোগে অভিযুক্ত বাংলার রাজ্যপাল তাতে তাঁকেই সামাজিক বয়কট করা উচিত বলে দাবি করেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ।

বারবারই আর জি কর ইস্যু নিয়ে আন্দোলন চালানো ডাক্তারদের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধনের দাবি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বৃহস্পতিবার বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন এতে বাইরের ইন্ধন রয়েছে। আর এই সব বক্তব্যের পরই মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। তিনি বলেন, বাংলার মানুষের সঙ্গে সহমর্মিতায় তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে যাওয়া বয়কট করছেন। তাঁকে তিনি সামাজিক বয়কট করছেন।

পাল্টা কুণাল ঘোষ স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী আগেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। স্বাধীনতা দিবসের সৌজন্য সাক্ষাতে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেই বারান্দায় বসেন যেখানে রাজ্যপাল ও তাঁর পারিষদরা ছিলেন না। পরে রাজ্যপাল সেখানে নেমে আসেন। রাজভবনে হওয়া অভিযোগ নিয়ে কুণাল বলেন, “দূরত্ব বজায় তো মুখ্যমন্ত্রীই করছেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তা থেকে তিনি বাঁচছেন সাংবিধানিক রক্ষাকবচের জোরে। তাঁকেই তো আগে সামাজিক বয়কট করা উচিত।”

Previous articleসন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি, সাতদিনে রিপোর্ট
Next articleশ্রাচী গ্রুপের কর্ণধার রাহুল টোডির হাত ধরে আইএসএল-এর নতুন জার্সি সামনে আনল মহামেডান