আবার তিন শর্ত! কালীঘাটে বৈঠকে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেও টালবাহানা ডাক্তারদের

শনিবারের পরে ফের সোমবার। ফের একবার রাজ্যের তরফে থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিষেবা জটিলতা কাটাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে ডাকা হল। ফের একবার চিকিৎসকদের তরফ থেকেও বৈঠকে বসার ‘ইচ্ছা’ প্রকাশ করা হল। তবে এবারেও তিন শর্ত আরোপ করলেন চিকিৎসকরা। বৈঠক পাঁচটায় করার আর্জি জানিয়ে মুখ্যসচিব যে মেল করেছিলেন, তার চার ঘণ্টা পরে বৈঠকে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা মুখ্যসচিবকে মেল করলে তিনিও পাল্টা মেলে একটি শর্তে সম্মতি জানিয়ে মেল করেন। কিন্তু তাতেও আপত্তি জানিয়ে ফের মুখ্যসচিবকে মেল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

শনিবার বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে বৈঠকের কার্যবিবরণী নিতেই সম্মত হয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় সত্যিই বৈঠক অসফল হয়। নিজেদের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের শর্তও ছেড়ে শুধুমাত্র কার্যবিবরণীর শর্তেই শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। যদিও পরে প্রকাশিত ভাইরাল অডিও-তে (ভাইরাল অডিও-র সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সরকারকে শর্ত দেওয়া নিয়ে চিকিৎসকদের একাংশই রাজি নয়।

সোমবার ফের রাজ্য সরকারের তরফে বৈঠকের মাধ্যমে জট কাটানোর চেষ্টা চালান মুখ্য সচিব। ১১.৪৮ মিনিটে মেল করা হয় কালীঘাটে বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে। তার প্রায় চারঘণ্টা পরে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে মেল করা হয়। তাতে শর্ত দেওয়া হয় তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিং চান। সম্ভব না হলে দুতরফের ভিডিও রেকর্ডিং করার অনুমতি দিতে হবে। দুপক্ষের রেকর্ডিং যদি না করা সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে ভিডিও রেকর্ডিং বৈঠকের পরেই তাঁদের দিতে হবে, ছিল দ্বিতীয় শর্ত। এই শর্তেও বৈঠক না হলে কার্যবিবরণী দুতরফে নোট করা হবে। সেই কার্যবিবরণীতে দুতরফের সই থাকবে।

চিকিৎকদের মেলের ৪০ মিনিটের মধ্যে উত্তর পাঠান মুখ্যসচিব। জুনিয়র চিকিৎসকদের তিন নম্বর দাবিকে সম্মতি দিয়ে মুখ্যসচিবের তরফ থেকে লেখা হয় কার্যবিবরণীতে দুপক্ষের সই থাকবে। সেখানে ফের চিকিৎসকরা ‘ধোঁয়াশা’র প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের দাবি, মুখ্যসচিবের মেলে দুতরফে কার্যবিবরণী নিতে দেওয়া হবে কিনা তার নিশ্চয়তা ছিল না। তাঁরা পাল্টা মেল করে সেই পয়েন্ট ব্যাখ্যা করার দাবি জানান। নিজেদের স্টেনোগ্রাফার নিয়ে কালীঘাটের দিকে রওনা দিলেও অনিশ্চয়তা থেকেই যায় বৈঠক নিয়ে।

চিকিৎসকদের সোমবারের টালবাহানা নিয়ে একহাত নেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করেন, “যে কোনও যুক্তিবাদী মানুষ রাজনীতির গন্ধ স্পষ্টভাবেই পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বারবার আশ্বাস সত্ত্বেও শনিবার ওনারা সময় নষ্ট করেছেন। আজ সকাল ১১.৪৮ মিনিটে মেল করা হয়েছিল ৫টায় যার উত্তর দেওয়া হয় চারঘণ্টা পরে। আবার কী বৈঠকের রাস্তা বন্ধ করবেন? সব নজর আপনাদের উপর।

Previous articleসঞ্জয়ের জামাকাপড় বাজেয়াপ্ত করতে কেন এত সময় লাগল? জানতে চাইছে সিবিআই
Next article‘নামী-দামী’ আইনজীবী ইন্দিরার খরচ দিচ্ছে কে? ‘স্বচ্ছতা’ বজায়ে জানাবেন কি জুনিয়র ডাক্তাররা!