বীরভূমের পরিযায়ী শ্রমিকের মাথাকাটা দেহ উদ্ধার মহারাষ্ট্রে, কারণ খুঁজছে পুলিশ

এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

এবার মহারাষ্ট্রে (Maharastra) উদ্ধার হল বীরভূমের (Birbhum) এক পরিযায়ী শ্রমিকের মাথাকাটা দেহ। মঙ্গলবার রাতে থানের একটি নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে ওই শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সোমনাথ দেবনাথ। তার বাড়ি বীরভূমের নলহাটি থানার পানিটা গ্রামে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ (Police)।

মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড় বছর ধরে মহারাষ্ট্রের থানেতে কাজ করেন সোমনাথ। সময় পেলে মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়ি আসতেন।শেষ বারের মতো দু’মাস আগে বাড়ি এসেছিলেন। কয়েকদিন বাড়ির লোকোর সঙ্গে কাটিয়ে ফের কর্মস্থলে ফিরে যান। পরিবারের দাবি, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত এগারোটা নাগাদ মায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন সোমনাথ। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মহারাষ্ট্র পুলিশ বাড়িতে ফোন করে। তারা জানায়, জানতে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে সোমনাথের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি একমাত্র রোজগারে হওয়ায় ভেঙে পড়ে ওই শ্রমিকের পরিবার। তাদের অভিযোগ, সোমনাথকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কেন তাকে খুন করা হল, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কপুরবাউড়ি থানার পুলিশ। সোমনাথের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন, না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Police)।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমনাথের শিরশ্ছেদ যারা করেছে তাদের সবার মুখ ঢাকা ছিল। তাকে একাধিকবার নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মুম্বাই নয় সিকিউরিটি প্রাইভেট লিমিটেডের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক নীতিন চন্দ্রকান্ত ঘাগ কাপুরবাউড়ি পুলিশের কাছে রিপোর্ট দাখিল করেছেন। ঘাগের বয়ান অনুসারে, কমপ্লেক্সের মধ্যে সিগনেট বিল্ডিংয়ের ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি প্রাণহীন লাশ পড়ে থাকার কথা একজন সহকর্মী তাকে জানান। তিনি বিভীষিকাময় দৃশ্য দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যান।  সেই সময় তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল এবং মুখে, ঘাড়ে এবং পিঠে একাধিক গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল।









 

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম