দুই যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ঢাকা ও জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, উত্তাল বাংলাদেশ

গণপিটুনির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

দুই যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা ও জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইদিনে ঘটা দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।জানা গিয়েছে, হত্যার আগে তাকে ভাত খেতে দিয়েছিলেন হলের শিক্ষার্থীরা।নিহত তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার কাঠালতলি ইউনিয়নে। তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটকের পর গেস্টরুমে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাকে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় মারধর করে শিক্ষার্থীরা। এক সময় ওই যুবককে ক্যান্টিনে বসিয়ে ভাতও খাওয়ানো হয়। এরপর ফের মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে।রাত ১০টার দিকে হলের হাউস টিউটররা ঘটনাস্থলে গেলে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী।চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনাতেও ১ জন আটক হয়েছে। গণপিটুনির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সকলে গণতান্ত্রিক অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছেন।

একইদিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত হন আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগ নেতা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাকে দফায় দফায় মারধর করে কয়েকজন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে শামীমের মৃত্যু হয়।

 









 

Previous articleদুর্গতদের পাশে: বানভাসি এলাকায় রান্না-খাবার বিলি ভারত সেবাশ্রম সংঘের
Next articleশুক্রবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাঠে নামতেই সিরাজ-রোহিতের কাছে ক্ষমা চাইলেন পন্থ, কিন্তু কেন ?