গণবিদ্রোহের পর প্রথম নির্বাচন: অর্থনীতি ফেরার লক্ষ্যে ভোটদান শ্রীলঙ্কায়

বিরোধী দলের চাপ রয়েছে তাঁর উপর। তাঁর সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমদাসা (Sajith Premadasa)। সেই সঙ্গে বামপ্রার্থী দেশের দুর্নীতিকে ইস্যু করেছেন

প্রবল গণ অভ্যুত্থানের পরে প্রথমবার নির্বাচন প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কায় (Srilanka)। দেউলিয়া (bankrupt) দেশের অর্থনীতির হাল ফেরানোর লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাসন করবেন ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ। আরও একবার রনিল বিক্রমসিঙ্গেকে (Ranil Wickremesinghe) সুযোগ দেবেন কিনা দেশের মানুষ তারই পরীক্ষা। রবিবারের মধ্যে দেশে স্থায়ী রাষ্ট্রপতির নাম সামনে চলে আসার আশা।

শনিবার সকাল থেকে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। রাষ্ট্রপতি পদের জন্য লড়াই করছেন ৩৮ প্রার্থী। দেশের ১৩,৪২১ কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ। বিকাল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। তারপর শুরু হবে গণনা। তবে রাষ্ট্রপতি পদে কে নির্বাচিত হলেন তা জানতে রবিবার সকাল হয়ে যাবে, বলেই ভোটকুশলীদের ধারণা। শ্রীলঙ্কায় এখনও ব্যালটের মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। ভোটাররা তিন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। যাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫০ শতাংশের বেশি হয়, তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কোনও প্রার্থীই যদি সেই উচ্চতা না ছুঁতে পারেন তবে সবথেকে বেশি ভোটাধিকারী দুজনের মধ্যে ফের ভোট গণনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত (Presidential election) হন।

২০২২ সালের অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের পরে সাধারণ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য হাহাকার শুরু করেছিল। রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্সার (Gotabaya Rajapaksa) সরকারের পতনের পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও তেলের জন্য দীর্ঘ লাইন ছিল নিত্যদিনের ভোগান্তি। জ্বালানির হাহাকার কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ক্ষমতায় আসা রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিঙ্গে। ইন্টারন্যাশানাল মনিটরি ফান্ড (IMF) থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের খাতে দেশে অর্থের যোগান দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তবে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার কাছে ব্যাপক দেনার বোঝা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি পুরোপুরি।

এই নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীদের কাছে সেটাই চ্যালেঞ্জ। কীভাবে বিশ্ব বাজার থেকে লগ্নি সংগ্রহ করে দেশকে ঋণমুক্ত করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কে করতে পারবে, তাঁর দিকেই তাকিয়ে সিংহলীরা। বিক্রমসঙ্গে (Ranil Wickremesinghe) অর্থনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে লড়াই করতে খানিকটা সম্ভব হলেও বিরোধী দলের চাপ রয়েছে তাঁর উপর। তাঁর সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমদাসা (Sajith Premadasa)। সেই সঙ্গে বামপ্রার্থী দেশের দুর্নীতিকে ইস্যু করেছেন। সেদিক থেকে বামপ্রার্থী অনুরা দিস্সনায়েকে প্রবল লড়াই দিতে পারেন বিক্রমসিঙ্গেকে, অনুমান রাজনীতিকদের।