জম্মু-কাশ্মীর থেকে কর্নাটকে যাচ্ছিল সেনা জওয়ান ভর্তি ‘আর্মি স্পেশাল’ ট্রেন।মধ্যপ্রদেশের নেপানগর পৌঁছতেই বিপত্তি। রেললাইনে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া মাত্রই চালক ট্রেন থামিয়ে দেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং রেলের শীর্ষ কর্তারা। তল্লাশির সময় রেললাইন থেকে বেশ কিছু ডিটোনেটর উদ্ধার হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, একটি ডিটোনেটর ট্রেনের সংস্পর্শে আসার পরেই সেই বিস্ফোরণ হয়েছিল। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যেপ্রদেশের সাগফাটা রেলস্টেশনের কাছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রেললাইনে রাখা ছিল ফগ ডিটোনেটর। রেললাইন থেকে ১০টি ডিটোনেটর উদ্ধার করে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।জানা গিয়েছে, ফগ ডিটোনেটর সাধারণত কুয়াশার জন্য ব্যবহার করা হয়। ট্রেন চালককে সতর্ক করতে রেলালাইনের কাছে এই ডিটোনেটর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।বুধবার রেললাইন থেকে যে ডিটোনেটরগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি এক জায়গাতেই জড়ো করে রাখা ছিল। আর এখানেই সন্দেহ বাড়ছে তদন্তকারীদের। মেয়াদ ফুরানো এই ডিটোনেটরগুলি দুষ্কৃতীরা রেললাইনে রেখেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টো নাগাদ মধ্যপ্রদেশের সাগফাটা স্টেশনের কাছে ‘আর্মি স্পেশাল’ ট্রেন পৌঁছতেই রেললাইনে থাকা একটি ডিটোনেটর বিস্ফোরণ হয়। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ডেপুটি পুলিশ সুপার, নেপানগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং রেলের শীর্ষ কর্তারা শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান। ওই দিনই তদন্তে আসে এনআইএ, এটিএস এবং অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ট্রেনটিকে লাইনচ্যুত করানোর ছক কষা হয়েছিল।

রেলের রিপোর্ট বলছে, গত অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৮ বার ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা হয়েছে। শুধুমাত্র অগস্টেই ১৫ বার ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিন বার চেষ্টা করা হয়েছে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই। যার মধ্যে রবিবার কানপুরে কালিন্দি এক্সপ্রেসকে লাইনচ্যুত করার প্রচেষ্টা এবং ওই দিনই রাজস্থানের অজমেরে একটি মালগাড়িকে একই ভাবে লাইনচ্যুত করানো চেষ্টা হয়েছিল।
