পঞ্চায়েত দফতরের অনুমতি পেলেই করা যাবে পানীয় জলের পাইপলাইনের কাজ, জারি নির্দেশিকা

গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জলের পাইপ বসানো বা অন্য কোন কাজের জন্য পঞ্চায়েত দফতরের আগাম অনুমতি নিতে হবে। এই মর্মে দফতরের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে পঞ্চায়েত দফতরকে জানিয়ে তবেই এধরণের কাজে হাত দিতে হবে বলে ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পানীয় জলের লাইন বসানোর অন্তত দু’সপ্তাহ আগে রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থাকে সেসম্পর্কে অবহিত করতে হবে। এর পর পঞ্চায়েত এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের থেকে সংশ্লিষ্ট রাস্তা পরিদর্শন করা হবে। কিভাবে কাজ শেষ করে রাস্তার পূনর্নিমাণ করা হবে সে ব্যপারে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পানীয় জলের পাইপ বসানোর কাজ শেষ হওয়ার পর যাতে দ্রুত সেই রাস্তা মেরামত করে চলাচলের উপয়োগী করে তোলা যায় সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হতে হবে। স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে মেরামতির কাজ করার জন্য সময় বেঁধে এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাজ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন। বহু গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জলের পাইপলাইন বসানোর সময় রাস্তা খোঁড়াখুড়ি করা হলেও পরে তা সারাই করে দেওয়া হয় না বলে তিনি জানান। এবার থেকে এরকম অভিযোগ পেলে ওই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হবে না বলেও মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন। এর পরেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও পঞ্চায়েত দফতর যৌথ নির্দেশিকা তৈরি করেছে। তা মেনেই রাস্তা কাটা ও তার পর মেরামতির কাজ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার প্রশাসনকে ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।পঞ্চায়েত দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাজ নিয়ে পঞ্চায়েত দফতরে অভিযোগও জমা পড়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক কারণে পদক্ষেপ করা যাচ্ছিল না। কিন্তু নবান্নের পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে উষ্মাপ্রকাশ করতেই পদক্ষেপ নিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর।

আরও পড়ুন- দুর্ভাগ্যজনক! প্রধান বিচারপতির পুজো অনুদান ‘রসিকতা’কে কটাক্ষ তৃণমূলের