বেঙ্গালুরুর তরুণী খুনে বাংলাকে বদনামের চক্রান্ত ব্যর্থ, অভিযুক্ত আত্মঘাতী ওড়িশায়!

মুক্তির লেখা একটি সুইসাইড নোট (suicide note) উদ্ধার হয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা আমি আমার প্রেমিকা মহালক্ষ্মীকে খুন করি ৩ সেপ্টেম্বর

বেঙ্গালুরু (Bengaluru) হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়! বেঙ্গালুরুতে তরুণীকে খুন করে নৃশংস ভাবে তাঁর দেহ ৫৯ টুকরো করার অভিযোগ উঠেছিল। তারপর তদন্তে নেমে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছিল বেঙ্গালুরুর পুলিশ। এর মাঝেই বুধবার ওড়িশা (Odisha) থেকে মিলেছে অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ! এমনকী একটি ডায়েরিতে থেকে সুইসাইড নোটও (Suicide note) পাওয়া গিয়েছে। আর তাতে খুনের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে সে। ফলে এই ঘটনায় বাংলায় অভিযুক্তের লুকিয়ে থাকার যে তথ্য খাঁড়া করার চেষ্টা করেছিল বেঙ্গালুরু প্রশাসন, তা কার্যত খারিজ হয়ে গেল।

আত্মঘাতী হওয়া যুবকের নাম মুক্তিরঞ্জন রায়। বুধবার ওড়িশার ভদ্রক (Bhadrak) জেলায় একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। তিনি নিহত তরুণীর সহকর্মী ছিলেন। ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। সূত্রের খবর, ১ সেপ্টেম্বর তিনি শেষবার অফিসে এসেছিলেন। নিহত তরুণীও শেষ অফিস করেন ওইদিনই। এরপর এই ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে আসে।

বুধবার ওড়িশার পান্ডিতে নিজের গ্রামে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জন রায়। সেদিন  রাতেই প্রতিবেশীরা তাঁর ঝুলন্ত দেহ খুঁজে পান। পুলিশি তদন্তে  তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর মুক্তির লেখা একটি সুইসাইড নোট (suicide note) উদ্ধার হয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা আমি আমার প্রেমিকা মহালক্ষ্মীকে খুন করি ৩ সেপ্টেম্বর। আমি ওর ব্যবহারে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার সঙ্গে ওর ঝগড়াও হয়। মহালক্ষ্মী আমায় মারধর করে, অপমান করে। ওর এরকম আচরণে ভয়ানক রেগে গিয়ে আমি ওকে খুন করি।”

এই সুইসাইড নোট পড়েই পুলিশ জানতে পেরেছে, বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) একা থাকা কর্মরতা তরুণীকে খুন করে মোট ৫৯ টুকরো করেছিলেন অভিযুক্ত মুক্তিরাজন। তারপর সেই দেহাংশগুলি ফ্রিজে পুরে রেখেছিলেন। মূলত তরুণীর আচার-ব্যবহারে বিরক্ত ও হতাশ হয়েই হাড়হিম কাণ্ড ঘটিয়েছিল খুনের আত্মঘাতী (suicide) খলনায়ক মুক্তিরাজন রায়।