ফের খবরের শিরোনামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার।কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্তকে রবিবারই আদালতে তোলা হয়।ধৃতের নাম অমিতাভ বারুই। বাড়ি রামগঙ্গা রাজরাজেশ্বরপুর এলাকায়। কাকদ্বীপের আদালতে ধৃতকে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এক কলেজছাত্রী। রাস্তায় তাকে বাধা দেন অভিযুক্ত। কলেজছাত্রীকে টোটোয় চাপিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আরও অভিযোগ, ওই ছাত্রী শ্লীলতাহানিতে বাধা দিলে তার টাকা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত।
বাড়িতে ফিরে পুরো ঘটনা জানায় ওই কলেজছাত্রী।এরপরই নিগৃহীতার পরিবার পাথরপ্রতিমা থানায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পাওয়ার পর সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের আইনজীবী সব্যসাচী দাস জানিয়েছেন, সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ভীতি প্রদর্শন-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।সোমবার সকালে নির্যাতিতা ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং গোপন জবানবন্দির জন্য ওই ছাত্রীকে পাথরপ্রতিমা থানা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদিকে সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে এক বধূর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সম্প্রতি আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা।