দুর্গতদের পাশে থাকুন: উৎসবেও বানভাসিদের সাহায্যের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

তাঁর কথায়, “যাঁরা মানুষের সেবা করে তাঁরা কাজটা করে নিঃশব্দে। যারা কাজ করে না তারা বকে বেশি। আমি চাই কথা কম কাজ বেশি, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য থাকা উচিত।”

মহালয়ার সঙ্গে যখন বাঙালি দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠতে চলেছে, তখনই বাংলার একটা বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বানভাসি। উৎসবের আনন্দে যেমন থাকবে, তেমনই দুর্গতদের পাশে সকলকে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহালয়া থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের পুজোগুলির উদ্বোধনে সচেষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দুর্গত মানুষদের পাশে থাকারও বার্তা দিলেন তিনি।

প্রথমে দক্ষিণ বঙ্গের ১০ জেলা, পরে উত্তর বঙ্গের জেলাগুলি একের পর এক বানভাসি (flood situation)। বারবার সেই বানভাসি মানুষদের জন্য ছুটে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গোৎসবের ঠিক আগে এই বানভাসি পরিস্থিতি যেন সব আনন্দকে মাটি করে দিয়েছিল। এখনও বহু এলাকা জলের তলায়। সেই সব এলাকার মানুষের কথা মনে করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, “অনেক মানুষ এখনও বানভাসি আছেন। তাঁদের পাশেও থাকুন। যতটা পারবেন তাঁদেরও সাহায্য করবেন।”

বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধারে একদিকে যেমন প্রশাসন দিন-রাত পরিশ্রম করেছে, তেমনই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রী, কর্মীরাও। উদ্ধার কাজ থেকে ত্রাণ বিলি সর্বত্র তাঁরা দলনেত্রীর বার্তা অনুসরণ করে সাধ্যমতো পরিশ্রম করেছেন। তৃণমূল নেত্রী জানান, “আমিও আমার মতো করে চেষ্টা করেছি। আমার দলের সহকর্মীরাও আমাকে অনেকটা সহযোগিতা করেছে।”

এই পরিস্থিতিতেও কুৎসা আর রাজনীতি করতে বারবার মাঠে নেমেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই সঙ্গে সুবিধাভোগী শ্রেণি যারা কাজের থেকে প্রচারে থাকার জন্য ত্রাণ দিতে গিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্যেও কড়া বার্তা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “যাঁরা মানুষের সেবা করে তাঁরা কাজটা করে নিঃশব্দে। যারা কাজ করে না তারা বকে বেশি। আমি চাই কথা কম কাজ বেশি, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য থাকা উচিত।” মহালয়ার দিন প্রতি বছরের মতো এবছরও দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র ‘উৎসব সংখ্যা’ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি এদিন নজরুল মঞ্চে প্রকাশিত হয় তৃণমূল নেত্রীর কথায় ও সুরে অরাজনৈতিক গানের অ্যালবাম – ‘অঞ্জলি’।