পঞ্চমীর রৌদ্রজ্জ্বল সকালে হালকা হালকা মেঘের দেখা মিলেছে। হাওয়া অফিসের (Weather Department) পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলেও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা কম। হালকা থেকে মাঝারি ভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও তা কলকাতা কিংবা শহরতলির পুজো পরিক্রমায় যে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না তা আন্দাজ করা যাচ্ছে। ঠিক যখন বৃষ্টি আর দুর্যোগের প্রভাব কাটিয়ে উঠে পুজোর আনন্দে মিশতে চাইছে বাংলা তখনই আরব সাগরে অশনি সংকেত। চোখ লাগাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! আইএমডির (IMD ) আপডেট অনুযায়ী শীতের কামড়ে আগেই ঝড়ের দুর্যোগ।

পুজো এবার এগিয়ে এসেছে। তবে অনেকেই বলছেন অক্টোবরের শেষের দিক থেকে হালকা হালকা শীতের আমেজ মিলবে। যে হারে বৃষ্টি হয়েছে তাতে বর্ষা দেরিতে বিদায় নেওয়ার কিছুটা প্রভাব শীতের উপর বর্তাবে। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কিছু জায়গায় হালকা ঠান্ডা অনুভূত হতে শুরু করেছে। যদিও দিল্লি থেকে শুরু করে বাংলা, বিহার-ওড়িশা-সহ একাধিক রাজ্যে এখনো আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির কারণে গরম রয়েছে। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি পর্বে দফায় দফায় বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলার ফেস্টিভ মুড।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাঝে ঝড়ের সংকেত। IMD বলছে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর এবং লাক্ষাদ্বীপ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে চলতি বছরের বর্ষা পরবর্তী প্রথম ঝড় আসতে চলেছে। আরব সাগর থেকেই ঘূর্ণিঝড় সোজা বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। এমনিতে পুজোতে বাংলায় বৃষ্টির খুব একটা সম্ভাবনা না থাকলেও এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ১১অক্টোবরের পর থেকে পরিস্থিতির বদল হতে পারে।
