মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আর জি কর মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগে রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হল কেন্দ্রীয় রেফেরাল ব্যবস্থা (central referral system)। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পরিবর্তনের জন্য জুনিয়র চিকিৎসক থেকে চিকিৎসক মহলের দাবি মেনে পরিবর্তন করার ইতিবাচক পদক্ষেপ গত একমাস ধরে নিয়ে চলেছে রাজ্য সরকার। ১৫ অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রীয় রেফেরাল ব্যবস্থা চালুর যে প্রতিশ্রুতি মুখ্যসচিব (Chief Secretary) দিয়েছিলেন, তা মঙ্গলবার থেকেই চালু হয়ে গেল। হাসপাতালে খালি স্থান দেখে স্থানান্তরিত করা হল রোগীকে।

জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থেকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি তুলে যে অরাজকতা এক মাসের বেশি সময় ধরে তৈরি করে চলেছেন, তার পাল্টা প্রতি ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকি যেমন যেমন দাবি বেড়েছে চিকিৎসকদের, তেমন তেমন বৈঠকের মধ্যে দিয়ে তা নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়াও হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের ১০ দাবির মধ্যে সাত দাবি মেনে নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য় সরকার। এবার মেনে নেওয়া হল সেন্ট্রাল রেফেরাল সিস্টেম (central referral system)।
এই ব্যবস্থায় সরকারের পোর্টালে সব হাসপাতালের সব বিভাগের খালি বেড থেকে চিকিৎসক সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ফলে শহরের সব বড় হাসপাতাল, মেডিক্য়াল কলেজগুলিতে রেফার করার আগে সেই সব তথ্য দেখে নিয়ে রেফার করা যাচ্ছে। ফলে রোগীদের এক হাসপাতাল থেকে অন্যত্র যাওয়ার আগেই মুক্তি হবে হয়রানি থেকে। হাসপাতাল ও তাতে সংস্থানের সুযোগ দেখেই তাঁরা রওনা দিতে পারবেন। এবং এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরতে হবে না রোগীদের।

মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু হল। আর সেই ব্যবস্থায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা থেকে রেফার হয়ে কলকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতালে এলেন এক রোগী। হেল্থ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম নামে সরকারি পোর্টালে প্রথমে ওই রোগীর নাম নথিভুক্ত করা হয়। তারপর হাসপাতালে স্থান সংকুলান দেখে এম আর বাঙুর হাসপাতালে রেফারের আবেদন করা হয়। সেই মতো ওই রোগী এম আর বাঙুরে এলে তাঁর চিকিৎসা করেন হাসপাতালের চিকিৎসক।
