কেন অগ্রগতি নেই? ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্স নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

প্রথম বৈঠক হয় ৫ সেপ্টেম্বর। শেষ তথা দ্বিতীয় বৈঠক ৯ সেপ্টেম্বর। এর পরে কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি (CJI)

0
1

শীর্ষ আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় প্রথমেই গোটা দেশের স্বাস্থক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে প্রস্তাব পেশ করেছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। অথচ সেই প্রস্তাবিত ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্সের (National Task Force) কাজের গতিই ঢিলে তালে চলায় ক্ষোভ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির। তিন সপ্তাহের মধ্যে এনটিএফের (NTF) প্রাথমিক প্রস্তাবনা নিয়ে রিপোর্ট পেশেরও নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়েই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে নির্দেশ অবহিত করার প্রতিশ্রুতি দেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (SG Tushar Mehta)।

আর জি কর নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় (suo moto case) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জাতীয় স্তরে চিকিৎসক থেকে সব ধরনের স্বাস্থ্য়কর্মীদের নিরাপত্তায় ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্স (NTF) গঠন করে। দেশের সবস্তরের প্রস্তাবনা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে এনটিএফকে নিরাপত্তা বিধানে প্রস্তাব পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মর্মে প্রাথমিক প্রস্তাবনা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হলেও কাজের অগ্রগতি নিয়ে কোনও রিপোর্টে কেন্দ্রের তরফে পেশ করা হয়নি মামলায় ষষ্ঠ শুনানি পর্যন্ত। ফলে মঙ্গলবার শুনানির শুরুতেই উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

এনটিএফের প্রথম বৈঠক হয় ৫ সেপ্টেম্বর। শেষ তথা দ্বিতীয় বৈঠক ৯ সেপ্টেম্বর। এর পরে কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি (CJI)। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud) জানান প্রথম বৈঠকেই চারটি দল তৈরি করে স্টেক হোল্ডারদের সংযুক্ত করা ও তাঁদের মতামত সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। একটি ওয়েব লিঙ্ক (web link) তৈরি করা হয় মতামত পেশের জন্য যেখানে ১৭০০ মতামত জমা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রশ্নমালা (questionnaire) তৈরি করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ৭৮৮০টি হাসপাতাল তাঁদের উত্তরও পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এখানেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এনটিএফের পক্ষ থেকে কোনও অগ্রগতি হয়নি বলে। তিনি নির্দেশ দেন ভবিষ্যতে যেন এনটিএফের কাজের অগ্রগতি বজায় থাকতে তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বৈঠকে বসবে এনটিএফ (NTF) এবং তার স্টেক হোল্ডাররাও (stake holder)। এই প্রক্রিয়া আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ করে রিপোর্ট হলফনামার আকারে পেশের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।