ইজরায়েলের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ছে লেবাননে, ইউনিফিলে মোতায়েন ভারতীয় সেনা নিয়ে উদ্বেগ

ইজরায়েলি সেনারা একটি গ্রামেও হামলা চালায়।

এবার ইজরায়েলের নজর পড়েছে লেবানন। দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী তথা ইউনিফিল মোতায়েন রয়েছে। ইউনিফিলের অধীনে ভারতসহ বিশ্বের ৫০টি দেশের সেনাবাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে। ভারতেরও প্রায় ৯০০ সেনা রয়েছে।ইজরায়েল যখন লেবাননে স্থল হামলা শুরু করে, তখন তারা ইউনিফিলকে সেখান থেকে পিছু হটতে বলে। কিন্তু ইউনিফিল তা প্রত্যাখ্যান করে এবং সেখানেই থেকে যায়।জানা গিয়েছে, ইজরায়েল ব্যক্তিগতভাবে সমস্ত দেশকে বলেছিল (যাদের সেনা ইউনিফিলে রয়েছে) তারা স্থল আক্রমণ শুরু করছে এবং সেখান থেকে শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করা উচিত।

এমনকী, ইজরায়েল যখন লেবাননে স্থল আক্রমণ শুরু করে, তখন এটি ভারতীয় ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা এলাকা থেকে দূরে ছিল। এরপর ইজরায়েল নাকাউরা ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে আক্রমণ শুরু করে।ইউনিফিলের সদর দফতর নাকউড়ায় রয়েছে। ভারতীয় ব্যাটালিয়ন ইজরায়েল-লেবানন-সিরিয়ার সংযোগস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।মনে করা হচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী এখানে শেষ পর্যন্ত আক্রমণ করবে। কারণ, এই এলাকাটি ইজরায়েলি সেনাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

এখানে হিজবুল্লার পক্ষে অতর্কিত হামলা চালানো সহজ। বর্তমানে যে এলাকায় ভারতীয় ব্যাটালিয়ন রয়েছে সেখানে ইজরায়েল তাদের স্থল হামলা শুরু করেনি।যদিও দুদিন আগে ভারতীয় ব্যাটালিয়ন যে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে তার ঠিক সামনেই ইজরায়েলি ভূখণ্ডে ইজরায়েলি ট্যাঙ্কের দেখা পাওয়া যায়। ইজরায়েলি সেনারা একটি গ্রামেও হামলা চালায়।

পরিস্থিতি খারাপ হলে সেখান থেকে ভারতীয় সেনাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার  সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রসংঘকেই নিতে হবে। ভারতসহ অন্যান্য দেশের সেনারা সেখানে রাষ্ট্রসংঘের ছত্রছায়ায় রয়েছে। তাই কোনও দেশই এই বিষয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। যদি সেখান থেকে রাষ্ট্রসংঘের মিশন সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে সেখান থেকে ভারতীয় সেনাদের কীভাবে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে তার জন্য আলোচনা করা হচ্ছে।আরও জানা গিয়েছে,লেবাননে শান্তিরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ভারতীয় ব্যাটালিয়নে প্রায় ৫০ জন অফিসার এবং অবশিষ্ট সেনা রয়েছে। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসম রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। পদাতিক বাহিনীর পাশাপাশি সাঁজোয়া, প্রকৌশলী, সিগন্যাল, চিকিৎসা ও বিমান প্রতিরক্ষা সেনারাও মোতায়েন রয়েছে।

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন যে ইজরায়েলি সেনা হিজবুল্লার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ নেতাকেও শেষ করেছে। রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় তাকে বলতে শোনা যায়, আমরা হিজবুল্লার ক্ষমতা ছেঁটে ফেলেছি। আমরা হাজার হাজার জঙ্গিকে নিকেশ করেছি। হিজবুল্লা প্রধান নাসরাল্লা, তার উত্তরসূরি এবং উত্তরসূরির বিকল্পকেও খতম করেছি। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নিয়ে আসা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।