এত বছর পরে ‘ভুল বোঝার’ গুরুত্ব নেই: সিঙ্গুর নিয়ে শুভেন্দুকে ধুয়ে দিলেন কুণাল

সিঙ্গুর নিয়ে তৃণমূল তথা তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রীকে আক্রমণ করলেন বর্তমান বিরোধী দলনেতা তথা সেই সময় তৃণমূল দলের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। শুক্রবার, প্রয়াত রতন টাটা প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মিছিলের আয়োজন করে বিজেপি (BJP)। সেই মিছিল শেষে শুভেন্দুর দাবি, সেই সময় টাটাদের সরানো ভুল হয়েছিল। এর পাল্টা বিজেপি বিধায়ককে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এদিন শুভেন্দু অভিযোগ করেন, সিঙ্গুরে না হল শিল্প, না হল কৃষি। কর্মসংস্থান আর সরকারের রাজস্ব বাড়াতে গেলে প্রয়োজন শিল্পের। এরপরই বিরোধী দলনেতার সাফাই, “সিঙ্গুরে টাটার কারখানার বিরোধিতা করার কথা মুখ ফুটে বলতে পারিনি। তৃণমূল দলের মধ্যেই ছিলাম ঠিকই, কিন্তু এই ধ্বংসযজ্ঞে সামিল হইনি।” এত রতন টাটার উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “আমরা ওঁর কাছে ক্ষমা চাইছি বাঙালি হিসেবে। আর শপথ করছি, আমরা ক্ষমতায় এলে আপনার প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আসব।” এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দুর কথায়, “সিপিএমের জন্য মমতা এখানে ঢুকতে পেরেছিল। à§§à§© হাজার জমির মালিক ছিলেন। বেশির ভাগ চাষি চেক নিয়েছিলেন।কিন্তু বর্গাদারকে টাকা দিতে চায়নি সিপিএম। বর্গাদারদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া সিপিএমের বড় ভুল। বর্গাদারের লাঠি মারল আর মমতা ঢুকল সিঙ্গুরে।”

এর পাল্টা তীব্র আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ বলেন, “তৃণমূল টাটাদের সরায়নি। তিনফসলি কৃষিজমি জোর করে সস্তায় দখল করে বেসরকারি কোম্পানিকে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এটা সেই জমি-নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ছিল। টাটাদের সরানোর লড়াই ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছিলেন শিল্পের যোগ্য জমি নেওয়া হোক। কৃষিভিত্তিক রাজ্যে জোর করে কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি জমি নিয়ে নিলে তাঁদের পরিবারগুলো সমস্যায় পড়বে। সিপিএমের ভুল নীতি ও জেদে টাটাদের সরে যেতে হয়েছিল।”

সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলে তৃণমূল নেতা বলেন, “সে সময়ে সিঙ্গুর আন্দোলনে শুভেন্দুবাবু ছিলেন তৃণমূল দলের হয়ে। ২০০৯ সালে এই আন্দোলনের উপর দাঁড়িয়ে লোকসভার সাংসদও হয়ে যান। ফলে সে সময়ে সিঙ্গুর আন্দোলনে শুভেন্দু ছিলেন মমতার সৈনিক। আজ তিনি বিজেপি-তে গিয়ে তার বিরোধিতা করছেন। তিনি সে সময়ে আপত্তি করলে তাও গ্রহণযোগ্য হতো। এত বছর পরে যদি কেউ এসে বলেন তাঁর ভুল মনে হয়েছিল, তাহলে তার কোনও গুরুত্ব থাকে না। এখন উনি বিরোধী দলে গেছেন বলে এসব কথা বলছেন। এত বছর পরে এর কোনও দাম নেই।”

আরও পড়ুন- এবার দিল্লি এইমস-এ যৌন নির্যাতন! মুখে কুলুপ বিজেপির