কৃষ্ণনগরে দুর্গাপুজোর মণ্ডপের ভিতরে তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। ঘটনা ঘটার পর থেকেই অত্যন্ত দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে তরুণীর প্রেমিককে। কিন্তু এই নিয়ে ঘোলা জলে রাজনীতি করতে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। শনিবার, মৃত তরুণীর বাড়িতে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। এর পাল্টা তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, পরিবারের দাবি মেনে যদি CBI তদন্ত হয়ও, তাহলেও তো যাঁকে রাজ্য পুলিশ ধরেছে তাঁকেই অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরেই কুণালের কটাক্ষ, শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যমে হেডলাইন বাড়বে।

এদিন, মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন দেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, “খুনই করা হয়েছে তরুণীকে। ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়েও অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, চিকিৎসকদের দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা বলে লিখিয়ে এনেছে পুলিশ।এরপরেই নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলিনীতে যোগে দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই সব অভিযোগ উড়িয়ে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, পরিবারের অভিযোগ ছিল প্রেমিক খুন করেছে। পুলিশ তদন্তে নেমে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এখন এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর জি কর-কাণ্ডের উদাহরণ দিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, রাজ্য পুলিশ যাঁকে গ্রেফতার করেছে, কৃষ্ণনগরে সিবিআই তদন্ত হলেও তাঁকেই অভিযুক্ত বলেছে তারা। সেই আবার সংবাদ পত্রে শিরোনাম হবে, যে রাজ্য পুলিশ যাঁকে গ্রেফতার করেছিলই তিনিই মূল অভিযুক্ত। অর্থাৎ কুণালের দাবি, রাজ্য পুলিশ ঠিক পথেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে। মাঝখান থেকে হাওয়া গরম করতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে গেরুয়া শিবির।
