ছাত্রলীগ ‘সন্ত্রাসবাদী’! এবার হাসিনার দলের ছাত্রশাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ইউনূস সরকারের

এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্রশাখা ছাত্রলীগকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করল বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংবিধান বাতিল, আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা-সহ ৫ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঙ্গলবার দুপুর থেকে নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবন-এর বাইরে অবস্থান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একাংশের সংঘর্ষও হয়। এর পরে বুধবার আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইউনূস সরকার।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইউনূস সরকারে জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ। ওই আইনের তফসিল-২–এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামের ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ তালিভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এ ছাড়া, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের উপর ‘উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ’ চালিয়ে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। দাবি করা হয়েছে, সরকারের কাছে এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এমনকী গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী জড়িত সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের। এমনকী গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী জড়িত সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের।

আরও পড়ুন- ম্যাজিকও হতে পারে পেশা! নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা ম্যাজিক ওয়ার্ল্ড ট্রাস্টের কনভেনশনে