তৃতীয় মধ্যস্থতা ছাড়া যেন ভারত-চিন সীমান্ত দ্বন্দ্ব মেটানোই সম্ভব নয় তথাকথিত শান্তির দূত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকারের পক্ষে। টানা কয়েক বছর ধরে যেখানে ভারতের জমি দখল করে চলেছে চিন, সেখানে ব্রিকস-এর সম্মেলনে (BRICS Summit) গিয়ে সহজেই সমাধানের পথে হাঁটল দুই প্রতিবেশী দেশ। অথচ এই সমাধানই ব্রিকস-এর মধ্যস্থতা ছাড়া কেন এতদিন সম্ভব হয়নি, প্রশ্ন রাজনীতিকদের। কার্যত এই বৈঠকের পর মোদি সরকার স্বীকার করে নিল চিনের সঙ্গে সীমান্তে অশান্তি গুরুতর আকার নিয়েছে, কটাক্ষ কংগ্রেসের।

১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে ইরান (Iran) থেকে রাশিয়া (Russia), শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে যাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মানছে বিশ্বের রাজনীতিকরা। যদিও ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) বা সামুদ পেজেস্কিয়ানের (Masoud Pezeshkian) বৈঠকে আদৌ রাশিয়া-ইউক্রেন বা মধ্য-প্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।

এই পরিস্থিতিতে সাইডলাইনে বৈঠক করলেন মোদি ও চিনের রাষ্ট্রপতি সি জিনপিং (Xi Zinping)। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় দ্রুত বৈঠকে বসবে ভারত ও চিনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই বৈঠক হবে। এরপরে আবার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রক ও তার আধিকারিক পর্যায়ের বৈঠকও হবে। এশিয়া তথা বিশ্বের সবথেকে বড় দুই গণতন্ত্রই একটি বিষয়ে একমত, সীমান্ত সম্পর্ক ভালো হলে দুই দেশের সবক্ষেত্রে সম্পর্কে উন্নতি হবে।

নরেন্দ্র মোদির এই বৈঠকের পরেই সীমান্তে চিনের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে রাজনীতিকরা আশা প্রকাশ করলেও সমালোচনায় সরব। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশের দাবি, এই বৈঠকে যেভাবে সীমান্ত সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে তাতে স্পষ্ট দুদেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা ছিল। যা মোদি সরকার ২০২০ সালের পর থেকে বারবার অস্বীকার করেছে। চিন-সীমান্ত সমস্যায় মোদি সরকারের স্বীকারোক্তি আদতে দেশের শহিদ জওয়ানদের প্রতি অসম্মান বলে উল্লেখ করেন জয়রাম রমেশ।
