রাজ্যকে বদনামের পর্দাফাঁস, আর জি করের রক্তমাখা গ্লাভসে ছিল না রক্তই!

তদন্তে উঠে এসেছে, যে প্যাকেট থেকে ওই গ্লাভস পাওয়া গিয়েছিল সেই প্যাকেটটির (packet) কোনও রেকর্ড হাসপাতালের রেকর্ডে নেই

আর জি করের পরিকাঠামো বদল নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা যখন যেমন দাবি জানিয়েছেন, তাতে সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের প্রশাসন। কার্যত রাজ্যের উন্নয়নে সদিচ্ছার কাছে মাথা নত হয়ে যাওয়ার চিকিৎসকরা নতুন বদনামের ‘কর্মসূচি’তে নেমেছিলেন। সেই কর্মসূচিরই অঙ্গ ছিল বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে রহস্যজনক জিনিস উদ্ধার। কার্যত তা যে রাজ্যকে বদনামের চক্রান্ত, তা প্রমাণিত হল গবেষণাগারের পরীক্ষার রিপোর্টে। রক্তমাখা গ্লাভসে পাওয়া নমুনা আদৌ রক্তের নয় বলে জানালো আর জি কর হাসপাতাল (R G Kar Medical College and Hospital) কর্তৃপক্ষ।

আর জি করের রক্তমাখা গ্লাভস (gloves) উদ্ধারের ঘটনায় সাময়িক শোরগোল পড়ে গেলেও রাজ্য সরকার সেই ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চালিয়ে যায়। আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট তলব করা হয়। সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। সেই তদন্তে বায়োকেমিস্ট্রি (biochemistry) বিভাগের পরীক্ষায় প্রকাশিত হয় গ্লাভসে যে লাল বা ওই ধরনের পদার্থ লেগে থাকতে দেখা গিয়েছিল, তা রক্ত নয়। হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানান রক্ত যদি না হয় তাহলে ওই পদার্থ কী ছিল তা একমাত্র বলতে পারবে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি (forensic laboratory)। সেখানেই গ্লাভস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

চাঞ্চল্যকরভাবে রহস্যজনক গ্লাভস (gloves) উদ্ধারের পরে চিকিৎসকরা দাবি করেছিলেন ওই প্যাকেটের একের পর এক সব গ্লাভসেই ওই লাল রঙের পদার্থ লাগা পেয়েছিলেন তাঁরা। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তদন্তে উঠে এসেছে, যে প্যাকেট থেকে ওই গ্লাভস পাওয়া গিয়েছিল সেই প্যাকেটটির (packet) কোনও রেকর্ড হাসপাতালের রেকর্ডে নেই। অর্থাৎ সেই প্যাকেট হাসপাতালে কীভাবে এল তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিপূর্বে শাসকদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, কীভাবে ওই প্যাকেট বা তার মধ্যে থাকা গ্লাভস হাসপাতালে পৌঁছেছে তা চিকিৎসকরা অনেক ভালোভাবে বলতে পারবেন, যাঁরা জানেন হাসপাতালের কোথায় কী থাকে। তবে আর জি কর কর্তৃপক্ষের তদন্তের পরে গোটা বিষয়টি আরও জটিল দিকে চলে গেল।