মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বাংলার বাড়ি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: তীব্র আক্রমণ কুণালের

আবাস যোজনার তথ্য বিকৃতি নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। অভিযোগ, বাংলায় আবাসের বাড়ির জন্য কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার৷ বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করলেও কোনও কাজ হয়নি৷ এমনকী এ বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ জানালেও তা গ্রহণ করতে পারেনি কেন্দ্র৷ ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে গরিব মানুষদের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারই৷গত ১১ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার এ-রাজ্যে গরিব মানুষদের ৫০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে৷ আরও ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কেন্দ্রীয় সরকারের টানা আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার গরিব মানুষের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দিতে বদ্ধপরিকর৷ এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা ছাড়া আর কোনও ভূমিকা নেই৷ সবটাই রাজ্য সরকার করছে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে৷ কিন্তু বাংলায় এসে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাসের বাড়ি-সহ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে বিকৃত তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ কুণালের (Kunal Ghosh)।বাংলা মানুষের ভরসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাংলাকে বঞ্চনা করছে বিজেপি (BJP) তথা কেন্দ্রীয় সরকার৷ একাধিকবার বাংলার পাওনাগণ্ডা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) একাধিকবার দরবার করেছেন৷ ধরনা, আন্দোলন করেছেন৷ তাতেও কোনও কাজ হয়নি৷ ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পায়নি বাংলা৷ ১০০ দিনের কাজের টাকা শ্রমিকদের মিটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ আবাসের টাকাও দেবে রাজ্য সরকারই৷ তবে কোন মুখে নির্লজ্জভাবে বাংলায় এসে মিথ্যাচার করেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল বিজেপি৷গত ৪ বছরে বাংলা থেকে ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা করবাবদ তুলে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র৷ অথচ বাংলাকে তার প্রাপ্য মেটানো হয়নি৷ কিন্তু এই প্রবল আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও মমতা বাংলার মানুষের জন্য জনমুখী প্রকল্পগুলির একটিও বন্ধ করেননি৷ এমনকী বন্যা ও ঘূর্ণিঘড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ শস্যবিমা পাওয়ার থেকে একজন কৃষকও যাতে বঞ্চিত না হন তা সুনিশ্চিত করেছেন৷

আরও খবর: অভয়ার ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবি, WBJDF-র ‘দাদাগিরি’র প্রতিবাদ: রাজপথে সরব WBJDA