আবাসে বাদ হওয়া উপভোক্তাদের তথ্য পুনরায় যাচাইয়ের কাজ শুরু রাজ্যের

বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে সমীক্ষায় যে সব উপভোক্তার নাম বাদ গিয়েছে রাজ্য সরকার পুনরায় তাদের তথ্যাদি যাচাই করার কাজ শুরু করেছে। এইজন্যে জেলা প্রশাসনের তরফে আধিকারিকদের প্রয়োজনে ঐ উপভোক্তাদের বাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে সব কিছু খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী তালিকায় যাদের নাম রয়েছে বর্তমানে তাদের অবস্থার কোন পরিবর্তন না হলে বাড়ি তৈরির জন্যে প্রত্যেকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে পাবেন বলে রাজ্য সরকার আগেই জানিয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও ঘূর্নিঝড় ডানা র প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থদেরও এই প্রকল্পে সহায়তা করা হবে।

ডিসেম্বর মাসে আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য। তার আগে তালিকায় নাম থাকা সম্ভাব্য উপভোক্তাদের বর্তমান পরিস্থিতি সমীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করছে নবান্ন । প্রাথমিক তালিকা থেকে যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের আবেদন পুনর্যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোট ১১টি কারণে বাতিল হয়েছে আবেদন। জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত যাচাই পর্বের পরেও নাম বাদ পড়েছে প্রায় ৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৪৫ জনের। তাঁদের মধ্যে সাড়ে তিন লক্ষেরই আবেদন বাতিলের কারণ একটাই, পাকা বাড়ি। ইটের দেওয়াল ও পাকা ছাদ তৈরির জন্য নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা পাওয়ার যোগ্য নন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখার পক্ষপাতী। আবেদনকারীরা অযোগ্য কি না তা ফের সমীক্ষা করা হবে। অনেক ক্ষেত্রে কাঁচা বাড়িতে ইটের আংশিক গাঁথুনি বা ভিত থাকে। তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে।

জানা গিয়েছে, শুধু পাকা ছাদ নয়, বাড়িতে তিন বা চার চাকার গাড়ি, তিন বা চার চাকার কৃষি সরঞ্জাম, পরিবারের কারও সরকারি চাকরি, মাসে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন, আড়াই একরের বেশি চাষযোগ্য জমি থাকার কারণেও আবেদন বাতিল হয়েছে। পরিবারের কোনও সদস্য আয়কর দিলে সেজন্যও নাম বাদ গিয়েছে। ৩৬ লক্ষেরও বেশি আবেদন পুনর্যাচাই করা হবে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের তালিকা পুনর্যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- বিলম্বিত সম্বিৎ! সিবিআই-কে প্রশ্নপত্র পেশ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের