আর জি কর কাণ্ডকে সামনে রেখে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police) দোষারোপ করতে এতোটুকু পিছপা হননি জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। প্রমাণ লোপাট থেকে শুরু করে তথ্য বিকৃতি- সব অভিযোগই আনা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। অথচ এই কলকাতা পুলিশেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর জি করের ঘটনার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করেছিল। আর যে জুনিয়র ডাক্তাররা এই পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শাণিয়েছিলেন তাঁদেরই একজন পরিচয় পণ্ডা। দশ দফা দাবিতে ধর্মতলার অনশন মঞ্চেও ছিলেন তিনি। সেখানেই খোয়া গিয়েছিল তাঁর মোবাইল ফোনটি। একমাসের মধ্যেই সেটা উদ্ধার করে তাঁর হাতে তুলে দিল কলকাতা পুলিশ-যাদের বিরুদ্ধে এই জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের সবচেয়ে বেশি আক্রোশ।
ফোনটি উদ্ধার করে শনিবারে জুনিয়র ডাক্তার পরিচয়ের হাতে সেটি তুলে দেয় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। তাদের এই কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। যে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সেই কলকাতা পুলিশের যে অভিযুক্তকে ধরে দিয়েছিল সিবিআই জানিয়েছে সেই মূল অভিযুক্ত। তাও গোঁসা কমেনি আন্দোলনকারীদের। এবার এক মাসের মধ্যে মোবাইল ফোন ফেরত পেয়েও এতটুকু ধন্যবাদ জানানোর সৌজন্যতা দেখাননি কেউ। তবে কলকাতা পুলিশের দক্ষতা নজর এড়াইনি নেটিজেনদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা কুর্নিশ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশকে। সেই পোস্ট নিজেদের পেজে শেয়ার করেছে লালবাজার।