মিলল না সাড়া, নিষ্প্রাণ ‘দ্রোহের আলো’

আর জি কর হাসপাতাল তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনার ৮৭ দিন পরে শিয়ালদহ আদালতে সোমবার চার্জ গঠন হল। সঞ্জয় রাইকে মূল অভিযুক্ত ধরে চার্জ গঠন হয়েছে আদালতে। আর এদিন সন্ধেয় ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে ‘অভয়া মঞ্চে’র ডাকে ‘দ্রোহের আলো জ্বালো’,কর্মসূচিতে মিলল না সাড়া। কিছু রাজনৈতিক নেতৃত্ব পতাকা ছেড়ে সামিল হলেও সাধারণ মানুষের কাছে এখন স্পষ্ট, যে কলকাতা পুলিশ যাকে অভিযুক্ত বলে গ্রেফতার করেছিল, সিবিআইও তাকেই অভিযুক্ত বলে ধরেই তদন্ত এগোচ্ছে। বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এই সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষের আবেগকে ব্যবহার করার ষড়যন্ত্র চলছে, সেটা ফেলেছেন অনেকেই।

এদিন বাংলাজুড়ে ৭টা নাগাদ ‘দ্রোহের আলো জ্বালো’ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিল ৮০টি সংগঠন-সহ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর যৌথমঞ্চ ‘অভয়া মঞ্চ’। শ্যামবাজার, কলেজ স্ট্রিট, কাঁকুড়গাছি, যাদবপুর, বেহালা, গড়িয়া মোড়, রাসবিহারী মোড়-সহ নানা জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কোথাও কোথাও হাতে মশাল, মোমবাতি, প্ল্যাকার্ড নিয়ে জমায়েতে করেন কিছু মানুষ। তবে এতে যে সাধারণ মানুষের থেকে বেশি বাম এবং অতি বাম সংগঠনের সদস্যরা যে শামিল ছিলেন তার প্রমাণ মেলে রাসবিহারী মোড়ের জমায়েতে সিপিআইএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে।

এর পর ৯ নভেম্বর রানি রাসমণি রোডে আর একটি প্রতিবাদী জমায়েতের ডাক দিয়েছে ‘অভয়া মঞ্চ’। তবে এদিনের কর্মসূচির হাল দেখে সেই কর্মসূচি আদপেও হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন- চেয়ারম্যান একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন! স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জেপিসি ত্যাগের ইঙ্গিত বিরোধীদের