Thursday, August 28, 2025

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার  ক্ষেত্রে বিদ্যুতের বিল বকেয়া রাখার অভিযোগ অলেক বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, এক হাজার কোটি টাকার বেশি বিদ্যুতের টাকা বকেয়া রয়েছে নানা সরকারি দফতরের। এ বার এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে দফতর।সম্প্রতি অর্থ দফতর সব সরকারি দফতরে প্রি-পেড মিটার বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, বিভিন্ন ছোট সরকারি অফিসে এ বার প্রি-পেড মিটার লাগানোর কাজ দ্র্রত শুরু হবে। অফিসগুলিকে নিয়ম মেনে মোবাইল ফোনের মতো বিদ্যুতের মিটার ‘রিচার্জ’ করাতে হবে।  জমা রাখা টাকা শেষ হয়ে গেলে নিজস্ব ভাবেই মিটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

রাজ্যের অর্থ দফতর গত ২৮ অক্টোবর এই মর্মে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সব সরকারি অফিসে ‘স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার’ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব সরকারি দফতর আগাম বিদ্যুতের খরচ ‘রিচার্জ’ করে নিতে পারবে। একসঙ্গে কয়েক মাসের টাকা জমা দেওয়া গেলেও মাসে মাসে রিচার্জের কথাই বলেছে অর্থ দফতর। এর জন্য ট্রেজ়ারি থেকে আগাম টাকাও পাওয়া যাবে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন উদ্যোগ এই প্রথম নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে ২০২৩ সালের মধ্যেই প্রথম পর্যায়ের ‘স্মার্ট মিটার’ চালুর কাজ শেষ করার কথা ছিল। তাতে শুরুতেই সরকারি অফিসে মিটার বসানোর কথা। কিন্তু সেই উদ্যোগ সে ভাবে সফল হয়নি।

কোনও সরকারি অফিস যদি ‘পোস্ট-পেড’ থেকে ‘প্রি-পেড’ পদ্ধতিতে আসতে চায় তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পরের দশ দিনের মধ্যে বকেয়া মিটিয়ে ফেলতে হবে। তাতে বকেয়ার উপরে ৪ শতাংশ ছাড়় পাওয়া যাবে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই প্রস্তাব কার্যকরের পক্ষেই রায় দেয় বিদ্যুৎ রেগুলেটরি কমিশন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সেই রায় মেলার পরে এ বার অর্থ দফতরও সব অফিসকে আগাম বিদ্যুৎ বিল মেটানোর অনুমতি দিয়েছে।

তবে শুধু সরকারি অফিসেই নয়, ধাপে ধাপে শিল্প এবং বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রেও প্রি-পেড পদ্ধতি চালু করতে চায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। সেই সঙ্গে বড় শহরগুলি দিয়ে শুরু হবে সাধারণ গ্রাহকদের মিটার-বদল প্রক্রিয়া। প্রথম ধাপে ৫ থেকে ৫০ কেভি বিদ্যুৎ খরচ হয়, এমন সংস্থাই লক্ষ্য। এর পরে পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিতেও প্রি-পেড মিটার বসানোর লক্ষ্য রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির লোকসান কমাতে গোটা দেশেই স্মার্ট মিটার এবং প্রি-পেড সংযোগ চালুর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। মূল লক্ষ্য বিদ্যুতের অপব্যবহার বন্ধ করা এবং বিল না মেটানোর প্রবণতা রোধ করা।

3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.
11.

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version