যোগ-শিক্ষায় প্রাণ বাঁচল শিক্ষিকার। অভিযোগ, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এক সময় মৃত্যু হয়েছে ভেবে গর্ত খুঁড়ে ওই শিক্ষিকাকে ফেলে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এর পরে মাটির নীচেও কিছু ক্ষণ থাকার পরে নিজের যোগ প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন ওই মহিলা। পুলিশে অভিযোগ জানালেন ধরা পড়েছেন দুষ্কৃতী-সহ ষড়যন্ত্রীও।

কর্নাটকের (Karnataka) চিক্কাবল্লাপুর জেলায় যোগ শিক্ষিকার (Yoga Teacher) কাজ করেন অর্চনা। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত সন্দেহে অর্চনা স্বামীর বন্ধু সন্তোষের স্ত্রী বিন্দু তাঁকে খুন করার জন্য চারজনকে ভাড়া করেছিলেন। তাঁরাই যোগ শিক্ষিকার উপর হামলা চালান।

আরও পড়ূন: মুখ্যমন্ত্রীর শিঙাড়া-চুরি! হিমাচল প্রদেশে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ

পুলিশ জানায়, অর্চনাকে মারতে সতীশ রেড্ডি নামে এক দুষ্কৃতীকে ভাড়া করেন বিন্দু। যোগ শেখার অছিলায় শিক্ষিকার সঙ্গে আলাপ জমান সতীশ। তাঁর ভরসা আদায় করেন। তার পরে সুযোগ বুঝে রাস্তা থেকে অর্চনাকে গাড়িতে তুলে নেন সতীশ। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজন থাকায় সন্দেহ হওয়ায় যোগ শিক্ষিকার (Yoga Teacher)। চিৎকার করতে গেলেই তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগ, একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাকে আবার মারধর করে দুষ্কৃতীরা। হামলার পর মরার ভান করেন শিক্ষিকা। মৃত্যু হয়েছে ভেবেছে সতীশ ও তাঁর সঙ্গীরা গর্ত খুঁড়ে তার মধ্যে ‘দেহ’ ফেলে মাটিচাপা দিয়ে চলে যান। কিন্তু যোগ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বেঁচে ফেরেন অর্চনা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে, সতীশ, তাঁর তিন সঙ্গী ও সন্তোষের স্ত্রী বিন্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ যাত্রা যোগ প্রশিক্ষণই প্রাণ বাঁচাল অর্চনার- মত নেটিজেনদের।
