ঘটনার প্রায় ৯৪ দিন পরে শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) শুরু হল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-ধুনের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া। ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়র সঞ্জয় রাইকেই (Sanjay Rai) মূল অভিযুক্ত ধরে চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার ভিত্তিতেই সোমবার শিয়ালদহ অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারকের এজলাসে সাক্ষীর বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মোট ৫১ জনের বয়ানের ভিডিও রেকর্ড রুদ্ধদ্বার এজলাসে করা হবে। এদিন প্রথম সাক্ষী হিসেবে মৃতার বাবার বয়ান গ্রহণ করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। আদালত থেকে বেরনোর সময় এদিন ধৃত সঞ্জয় রাই ফের দাবি করে, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এদিন সরাসরি কলকাতাপ প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি স্পেশ্যাল ফাঁসিয়েছেন তাকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করে সঞ্জয়। মঙ্গলবারই এই মামলায় পরবর্তী শুনানি।

এদিন দুপুর একটার কিছু পরে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) পেশ করা হয়। হাজির হন সিবিআইয়ের তদন্তকারী ও আইনজীবীরা। আর জি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করা আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারও এদিন শিয়ালদহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আগে নির্যাতিতার সোদপুরের বাড়িতে গিয়ে কড়া নিরাপত্তায় নির্যাতিতার বাবাকে নিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেলা দেড়টা নাগাদ শুরু হয় রুদ্ধদ্বার শুনানি। CBI-র তরফে আদালতে মোট ১২৮ জন সম্ভাব্য সাক্ষীর তালিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে কলকাতা পুলিশ ও ফরেনসিক বিভাগের আধিকারিকরা রয়েছেন। তার মধ্যে ধাপে ধাপে ৫১ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হবে।

আগের দিন সঞ্জয় অভিযোগ করেছিল, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এদিনও কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়র ফের দাবি করে, “আমাকে কিছু বলতে দেওয়া হয়নি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।“ এরপরেই সরাসরি নাম করে সঞ্জয় বলে, “ডিসিডিডি স্পেশ্যাল ও বিনীত গোয়েল সাজিশ করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।“ তাহলে অপরাধী কে? জবাবে খুন-ধর্ষণে একমাত্র অভিযুক্তর অভিযোগ, “প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েল এবং ডিসি স্পেশ্যাল সব জানে। ওদেরকে জিজ্ঞেস করলেই সব জানা যাবে।”
