Thursday, December 4, 2025

“শেষবারের জন্য অনুমতি দিচ্ছি!“ হাই কোর্টের বিচারপতির কাছে ভর্ৎসিত শুভেন্দু

Date:

Share post:

কথায় কথায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) কার্যত ভর্ৎসিত হলেন হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। বিচারপতি স্পষ্ট জানালেন, “মুচলেকা দিলে জীবন বাঁচানো যায় না।“ এই শেষেবার তিনি অনুমতি পেলেন বলেও বুধবার জানান কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

হাওড়ার শ্যামপুরে কামারপুর রোড দেউলি বাজার জংশনে বিকেলে BJP নেতার সভা রয়েছে। কিন্তু যুক্তিসঙ্গত কারণেই সেই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ (Police)। স্বভাবসিদ্ধ ভাবে আদালতে ছোটেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়, সভাস্থলে যাওয়ার জন্যে যে রাস্তা, তা খুবই সরু। ফলে সেখানে শুভেন্দুর জেড ক্যাটাগরির কনভয়ের যাতায়াত খুবই সমস্যা। এর পাল্টা শুভেন্দুর (Subhendu Adhikari) আইনজীবী জানান, “নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না, আমরা মুচলেকা দিয়ে দেব।“

আরও খবর: ফের পিছিয়ে গেল পার্থর শুনানি, আদৌ এবছর জামিন মেলা নিয়ে ধোঁয়াশা

এই কথায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি ঘোষ। তিনি বলেন, “মুচলেকা দিলে জীবন বাঁচানো যায় না।“ একই সঙ্গে বিচারপতি জানান, “এই শেষবারের জন্য অনুমতি দিচ্ছি!“ তিনি স্পষ্ট জানান, জাতীয় সড়কের ধারে সভা করলেও অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু এর পরে সভার জন্য মিনিমাম ২০ মিটারের কম চওড়া রাস্তা হলে সেখানে সভার অনুমতি দেওয়া হবে না। এটা লক্ষ্য রাখবেন। আদালতে ফের প্রমাণ হয়ে গেল, যুক্তিসঙ্গত কারণেই পুলিশ সভা অনুমতি দেয়নি।







spot_img

Related articles

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...