রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পরই চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চিন বয়কটের দীর্ঘ তালিকা পেশ করেছিলেন। তারপরেও চিনের তরফ থেকে বৈরিতা রাখা হয়নি। ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতি পদে স্বাগত জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি সি জিনপিং (Xi Zinping)। তবে অ্যাপেক সম্মেলনে (APEC Summit) জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতে জিনপিংয়ের বৈরিতার আসল কারণ বেরিয়ে এলো। সেখানেই মূল সম্মেলনের বাইরে তাইওয়ান (Taiwan) নিয়ে নাক গলানো নিয়ে আমেরিকাকে কড়া বার্তা জিনপিংয়ের।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Zinping) জানাননি, ট্রাম্প না কমলা (Kamala Harris) কাকে সমর্থন করবেন তাঁরা। তবে নির্বাচনী প্রচারে চিনা সামগ্রীতে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ইঙ্গিত দেওয়া ট্রাম্পের সমর্থনে জিনপিং যাবেন না বলেই আন্দাজ করেছিল আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। এরপর নির্বাচনে জয়ের পরে ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প দাবি করেন চিন থেকে আনা সাধারণ থেকে জীবনদায়ী ওষুধ থেকে শুরু করে হালের ইলেক্ট্রিক গাড়ির (e-vehicle) আমদানিও বন্ধ করতে হবে। তাতে দেশের ওষুধ শিল্প ও মোটরগাড়ি শিল্প আবার চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে বাণিজ্যিক দিক ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে চিন নিয়ে কোনও বাক্য ব্যয় করেননি ট্রাম্প। যেখানে রাশিয়া বা ইজরায়েল নিয়ে বার্তা দিতে দেখা গিয়েছিল ট্রাম্পকে।
ট্রাম্পের আগের রাষ্ট্রপতি মেয়াদকালে আমেরিকার মতই পাল্লা দিয়ে আমেরিকা থেকে আমদানি করা দ্রব্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক লাগু করেছিল চিন। কিন্তু তাতে দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। কিন্তু তাইওয়ানের প্রসঙ্গ আসতেই বাইডেন (Joe Biden) সরকারের সঙ্গে বৈরিতা যে স্পষ্ট হয়েছিল তা বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতে ফের বুঝিয়ে দিলেন জিনপিং। তিনি বাইডেনকে স্পষ্ট বার্তা দেন তাইওয়ান তাঁদের এলাকা। সেখানে কারো আধিপত্ব তাঁরা মেনে নেবেন না। তাইওয়ানের লাল সিগনাল (red lines) পেরোলে আমেরিকা-চিন সম্পর্কের গার্ডরেল (Guardrails and safety nets) পেরিয়ে যাওয়া হবে বলেও বার্তা দেন তিনি। পরবর্তী মার্কিন প্রশাসনও যেন সেই বিষয়ে নাক না গলায় এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে মদত না দেয়, সতর্ক করে দেন বাইডেনকে। সেই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখারও বার্তা দেন।