নিয়োগ মামলায় ঝুলে রইল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৫ জনের জামিন। বুধবার, কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চে শুনানিতে দুই বিচারপতির মতানৈক্য না হওয়ায় মামলা গেল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। তিনি মামলাটি তৃতীয় বিচারপতির বেঞ্চে পাঠাবেন।

এদিন নিয়োগ মামলায় হাই কোর্টে (Calcutta High Court) বিরল পরিস্থিতি হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের (Partha Chattopadhyay) জামিন নিয়ে দুই বিচারপতি ভিন্ন মত দেন। সকলের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় চারজনের জামিন মঞ্জুর করলেও, বাকি পাঁচজন- পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্হার- ক্ষেত্রে বিরোধিতা করেন। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে মিডলম্যান হিসেবে জড়িত থাকা অভিযোগে গ্রেফতার হন কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, সুব্রত সামন্ত রায় ও চন্দন ওরফে রঞ্জন মণ্ডল। সিবিআইয়ের মামলায় এই চারজনকে জামিন দেন ২ বিচারপতিই।

২০২২-এর ২৩ জুলাই নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ED। এর আগে একাধিক বার জামিন চেয়ে হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আবেদন করেছেন পার্থ। হাই কোর্টের সিঙ্গল ও ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদন খারিজ হয়। গত এপ্রিলের জামিনের শুনানি শেষে পার্থের আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পরে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ-সহ ৯জন। হাই কোর্টে প্রায় ৬ মাস ধরে ওই জামিন মামলাগুলির শুনানি চলে। বুধবার সেই মামলায় রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু হাই কোর্টের দুই বিচারপতির মধ্যে ভিন্নমত দেখা যায়। ফলে ৪ জনের জামিন হলেও ৫ জনের জামিন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে তৃতীয় বেঞ্চে।
