Thursday, August 21, 2025

বীরেন সিংয়ের নিশানায় কুকিরা! মনিপুরে মুখ ফেরানো বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ কুণালের

Date:

মনিপুরে অশান্তির আশঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের কার্ফুর পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়ে দিল মনিপুর (Manipur) সরকার। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হওয়ায় সকালে ইম্ফল উপত্যকায় পাঁচ ঘণ্টার জন্য কার্ফু (curfew) শিঁথিল করা হয়। আর তখন দেখা যায় সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে রেশন মজুত করার হিড়িক। এই পরিস্থিতিতেও শুধুমাত্র কুকি জনজাতিকে নিশানা করে খুঁজে খুঁজে শাস্তি দেওয়ার কথাই স্পষ্ট করলেন মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং (N Biren Singh)। তবে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি থেকে কেন্দ্রের মন্ত্রী গিরিরাজরা বারবার বাংলার বিভিন্ন জায়গা অশান্ত বলে দাবি করে যেভাবে বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছেন, তার পাল্টা কেন্দ্রের এই মন্ত্রীদের মনিপুর যাওয়ার কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

১৬ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের কার্ফু জারি হয়েছে মনিপুরে। তার আগে ইম্ফল উপত্যকায় মেইতি (Meitei) জনজাতির হামলার কারণে বাইরে থেকে রসদ ঢোকাও একরকম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বুধবার সকালে কার্ফু (curfew) পাঁচ ঘণ্টার জন্য তোলা হলে সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিশেষত জ্বালানি সংগ্রহ করে রাখতে ছোটে। এদিন পেট্রোল পাম্পগুলিও খুলতে দেখা যায়। তবে উপদ্রুত সাত জেলায় আরও তিনদিনের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্কের (mobile network) পরিষেবা ও ইন্টারনেটের (internet) বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের দাবি, মেইতি জনজাতির তিন শিশু সহ ছয় সদস্যকে নৃশংস হত্যার পিছনে হাত রয়েছে শুধুমাত্র কুকিদের (Kuki)। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নতুন করে ২০ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে মনিপুরে। আরও ৩০ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অমিত শাহর (Amit Shah) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

মনিপুরের এই জ্বলন্ত পরিস্থিতিতেও কোনও কেন্দ্রের মন্ত্রীর দেখা পাননি মনিপুরের (Manipur) মানুষ। বিজেপি বিধায়করাও যেখানে কেন্দ্রের ইতিবাচক পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন, সেখানে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বাংলায় সফরে বেশি আগ্রহী। তার প্রতি তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, সুকান্ত মজুমদার তো একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাংলার যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে সেখানে অশান্তি তৈরি করতে তিনি যাচ্ছেন। তিনি কেন যাচ্ছেন না মনিপুরে। মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বাইরে বড় বড় কথা এই রাজ্য নিয়ে বলে থাকেন। কিন্তু তাঁর মুখ থেকে মনিপুর নিয়ে কেন কোনও কথা শোনা যায় না, প্রশ্ন কুণালের।

Related articles

নিরপেক্ষতা, মর্যাদা, আলোচনা: উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নে সুদর্শন রেড্ডির শপথ

আমার জীবন জনগণের সেবায় নিয়োজিত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থেকে শুরু করে একজন আইনের ছাত্র হিসেবে ভারতের গণতান্ত্রিক প্রথা,...

“ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচটা নিজেকে প্রমাণ করার ছিল”: জবি জাস্টিন

ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল। একটা সুযোগ খুঁজছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার। ডুরান্ডের (Durand Cup) সেমিফাইনালেই প্রাক্তন দল ইস্টবেঙ্গলের...

অভিষেকের পেপটকেই ইস্টবেঙ্গল বধ DHFC-র: ফাঁস করলেন মানস ভট্টাচার্য

প্রথমবার ডুরান্ড খেলতে নেমেই বাজিমাতের পথে ডায়মন্ড হারবার এফসি। আর দলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পেপটকেই (pep...

আমন্ত্রণ আসেনি: শুক্রবার কী করবেন দিলীপ ঘোষ, অকপট, অভিমানী

কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরোলেই পাজি। যে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বঙ্গে বিজেপির উত্থান, শুভেন্দু-সুকান্ত জমানায় সেই দিলীপকেই...
Exit mobile version