মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই রাজধর্ম পালনের তৎপর হল পুলিশ। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অপরাধ করলে কাউকে রেয়াত নয়, পুলিশকে রঙ না দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর সেই নির্দেশের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গাপুরে লোহা বাজারের দায়ে এক প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং আর এক প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উভয়ের বিরুদ্ধেই লোহার অবৈধ কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দেন পুলিশকে। প্রশ্ন তোলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। নিচুতলার অনেক পুলিশ কর্মী সিআইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাচারে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। আবার অনেক তৃণমূল নেতাও যে এই কাণ্ডে জড়িত রয়েছেন, তাও তিনি খোলসা করে দেন। পুলিশকে বলেন, অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ পেয়ে রাতেই আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সাসপেন্ড করেন বারাবনি থানার ওসি মনোরঞ্জন মণ্ডলকে। আর শুক্রবার সকালেই লোহা পাচারের অভিযোগে তৃণমূলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল প্রাক্তন কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা পাঁজার স্বামী রিন্টু পাঁজা। রিন্টু বর্তমানে তৃণমূলের ৩ নম্বর ব্লকের সহ সভাপতি। বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল কোকওভেন থানায়। রাতভর জেরা করে শুক্রবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সকালে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর থানায়।

এদিনই তাদের দুর্গাপুর আদালতে তুলে দুজনকেই হেফাজতে নিয়ার আবেদন করে পুলিশ। এরপর দুই তৃণমূল নেতাকে জেরা করতে পারে সিআইডি।

আরও পড়ুন- Gold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে

